Sonarpur: তিনতলা বাড়ি থেকে চুঁইয়ে পড়ছে তেল, চিটচিট করছে দেওয়াল, সোনারপুর থেকে খবর গেল ONGC-তে
Sonarpur: বাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, বছর কয়েক আগে বাড়িটি রঙ করাতে গেলে প্রথমে চোখে পড়ে ওই তৈলাক্ত পদার্থ। দেখা যায়, কালো হয়ে যাচ্ছে দেওয়ালের অংশ। এরপর তাঁরা আর বিষয়টায় গুরুত্ব দেননি। পরে বাড়তে থাকে পরিধি। বাইরের দেওয়ালে হাত দিলেও বোঝা যাচ্ছে, তেল গড়িয়ে পড়ছে।
বারুইপুর: ৫০ বছরের বেশি আগে তৈরি হয়েছে বাড়ি। একটু একটু করে দোতলা, তিনতলা তৈরি হয়েছে। আস্ত একটি তিনতলা বাড়ির একাংশ থেকে গড়িয়ে পড়ছে তেল! কালো চিটচিটে তেলে ভরে যাচ্ছে, দেওয়াল, কার্নিস, মেঝে। ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। কোথা থেকে আসছে, এই চিটচিটে পদার্থ আসলে কী, তা ভেবেই পাচ্ছেন না বাড়ির বাসিন্দারা। প্রত্যেকদিনই বেড়েই চলেছে এই তেল গড়ানোর পরিমাণ। সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় খবর দিয়েছেন বাড়ির বাসিন্দারা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বাড়ির বাসিন্দারা রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন। বাড়ির মালিকের নাম রতন সরকার। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্য সহ এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারাও এই ঘটনায় হতবাক। একদিন বা দু’দিন নয়, বছর খানেকেরও বেশি সময় ধরে এই ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা।
ইতিমধ্যে খবর দেওয়া হয়েছে ONGC, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের IIPC ডিপার্টমেন্ট, রাজপুর সোনারপুর পুরসভা ও নরেন্দ্রপুর থানায়। লিখিতভাবে জানানো হয়েছে পুরো বিষয়টি।
বাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, বছর কয়েক আগে বাড়িটি রঙ করাতে গেলে প্রথমে চোখে পড়ে ওই তৈলাক্ত পদার্থ। দেখা যায়, কালো হয়ে যাচ্ছে দেওয়ালের অংশ। এরপর তাঁরা আর বিষয়টায় গুরুত্ব দেননি। পরে বাড়তে থাকে পরিধি। বাইরের দেওয়ালে হাত দিলেও বোঝা যাচ্ছে, তেল গড়িয়ে পড়ছে।
বিষয়টি জানতে পেরে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার ১২৩ ফরতাবাদ রোডের মজুমদার পাড়ায় রতন সরকারের বাড়িতে যান রাজপুর সোনারপুর পুরসভার একটি প্রতিনিধি দল। আগামী মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজিকাল ডিপার্টমেন্টর সদস্যরাও যাবেন সেখানে। পুরসভার পক্ষ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, যে তেল বের হচ্ছে, তা দাহ্য নয়। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পুর পারিষদ সদস্য নজরুল আলি মণ্ডল।