Canning: বোট তখন মাঝ নদীতে, আচমকাই ধেয়ে আসল পরপর গুলি, মাথায় পড়ল ধারাল অস্ত্রের কোপ! ভরা মরশুমে সুন্দরবনে ভয় ধরানোর ঘটনা

Abhigyan Naskar | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 19, 2024 | 11:20 AM

Canning: শনিবার রাতে বোট নিয়ে জঙ্গল সংলগ্ন নদীতে টহল দেওয়ার সময় হরিণ শিকারীদের মুখোমুখি হন বনকর্মীরা। তখনই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বনদফতরের ওই কর্মীর। তাঁর মাথায় কুড়ুলের আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। বনদফতর ও পুলিশ সূত্রে খবর, অমলেন্দু রায়দিঘির বাসিন্দা।

Canning: বোট তখন মাঝ নদীতে, আচমকাই ধেয়ে আসল পরপর গুলি, মাথায় পড়ল ধারাল অস্ত্রের কোপ! ভরা মরশুমে সুন্দরবনে ভয় ধরানোর ঘটনা
সুন্দরবনে গুলির লড়াই (ফাইল ছবি)
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বোট নদীতে ঘুরছিল। চোখে দূরবীন। নজর ছিল জঙ্গলের ভিতর। জঙ্গলের ভিতরে কয়েকজনকে ইতঃস্তত ঘুরতে দেখেছিলেন সরকারি কর্মী। ভাল করে দেখলে বুঝতে পারেন, যারা ঘুরছে, তাদের হাতে অস্ত্র! জঙ্গলের যে রেঞ্জে হরিণ থাকে বেশি, সেখানেই ঘুরছিল তারা। বুঝতে দেরি হয় কর্মীরা। বোট নিয়ে এগিয়ে চলেন জঙ্গলের সে প্রান্তের দিকে। বোট থেকে নেমে সঙ্গীদের নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কর্মী। আচমকাই গুলি! পাল্টা গুলি চালান তিনিও! হয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলাও। চোরাশিকারীদের হাতে খুন বনদফতরের কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বনকর্মীর নাম অমলেন্দু হালদার (৫৯)।

শনিবার রাতে বোট নিয়ে জঙ্গল সংলগ্ন নদীতে টহল দেওয়ার সময় হরিণ শিকারীদের মুখোমুখি হন বনকর্মীরা। তখনই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বনদফতরের ওই কর্মীর। তাঁর মাথায় কুড়ুলের আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। বনদফতর ও পুলিশ সূত্রে খবর, অমলেন্দু রায়দিঘির বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় বোট নিয়ে বের হয়েছিলেন অমলেন্দু। সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন কর্মী ও বোটের ২ কর্মী।

সুন্দরবনের বিদ্যা রেঞ্জে অফিসের অধীনে নেতাধোপানি ক্যাম্প এলাকার জঙ্গলে হরিণ শিকারীরা তাঁদের মুখোমুখি পড়ে যায় বলে খবর। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াই হয়। চোরাশিকারীদের ছোড়া গুলি লাগে অমলেন্দুবাবুর শরীরে। যদিও পরে তাঁকে কোপানো হয় বলেও মনে করা হচ্ছে। কারণ তাঁর মাথায় কুড়ুলের গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। দেহ উদ্ধার করে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে দেহ।

Next Article