
ক্যানিং: প্রতিদিন সকালে ঘরের বাইরে কাজ করতে দেখেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে তাঁকে দেখা যায়। বেলা গড়াতেও তাঁকে দেখা যায়নি। তাতেই সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর সে কারণেই কয়েকজন ডাকতে তাঁকে ঘরের ভিতর ঢুকেছিলেন। দেখেই চমকে উঠেছিলেন তাঁরা। ঘরের মেঝেতে চাপ চাপ রক্তের দাগ। শুকিয়ে জমাট বেঁধেছে তা। রান্নাঘরের দিকে এগোতেই তাঁরা দেখেছিলেন বাড়ির কর্ত্রী উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন। পাশেই পড়ে বটি। ঘরের ভিতর থেকে এক মহিলার গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্যানিংয়ের মিঠাখালি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম অঞ্জলি নস্কর (৪২)।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অঞ্জলির স্বামী দিনমজুরির কাজ করতেন। তাঁর দুই ছেলেই বেকার। কোনও কাজকর্ম করতেও চাইতেন না সেভাবে। সংসারে অভাব ছিল। তা নিয়ে অশান্তিও ছিল। মিঠাখালি এলাকায় অঞ্জলি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁদের পুরনো বাড়ি ক্যানিং থানার হেরোভাঙ্গা এলাকায়।
প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, অভাব থাকায় গত কয়েক মাস ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অঞ্জলি। সোমবার রাতেও তাঁকে বাড়ির বাইরে দেখা গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে তাঁকে দেখতে না পাওয়ায় সন্দেহ হয়েছিল প্রতিবেশীদের। তাঁদেরই কয়েকজন ঘরের ভিতর ঢুকে অঞ্জলিকে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ঘরে সেসময়ে আর কেউই ছিলেন না। তাঁরাই অঞ্জলির দুই ছেলে ও স্বামীকে খবর দেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে অঞ্জলির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদ থেকেই নিজের গলা কেটে আত্মঘাতী হয়েছেন অঞ্জলি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। আত্মহত্যা না খুন,তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।