
ক্যানিং: ক্যানিং থানার হোমগার্ড পারভিন মোল্লার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই উঠছে একের পর এক প্রশ্ন। যুবতীকে খুন করা হয়েছে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রাজনৈতিক রঙ রয়েছে নাকি প্রেমঘটিত কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়েই উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। জানা যাচ্ছে, মৃত হোমগার্ডের বাবা ছিলেন রশিদ মোল্লা ছিলেন শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ। গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই নিয়ে কম রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়নি। সেই এই ঘটনার দায় চাপানো হয়েছিল আইএসএফ-এর উপর। আজ যদিও, শওকত মোল্লা দাবি করেছেন, পারভিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই থানারই সাব ইন্সপেক্টরের। একই দাবি পরিবারেরও। ওই পুলিশ অফিসারই খুন করেছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের।
শওকত মোল্লা বলেন, “গত পরশু দিন থেকে পারভিনকে ওর বোন ফোন করছিল। ওর ফোনে না পাওয়ার পর গতকাল দুপুরের পর কোয়ার্টারে গিয়ে দেখে দিদি গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। এরপর পুলিশকে ডাকা হয়।” তাঁর আরও সংযোজন, “এরপর যা জানতে পারছি এই ক্যানিং থানাতে সায়ন বলে একজন পুলিশ অফিসার রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে হয়ত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি বোন, গুলজার যে কনস্টেবল আর সায়ন এরা কখনও বারুইপুর, কখনও তালদি কখনও ঝড়খালিতে ঘুরতেও গিয়েছে। যতটুকু মনে হচ্ছে হয় গলা টিপে মেরে ফেলা হয়েছে। বা নয়ত দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই সবটা বোঝা যাবে।”
অপরদিকে মৃতের পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, “ও আত্মহত্যা করার মেয়ে নয়। এর মধ্যে চক্রান্ত আছে। আর অফিসার সায়ন ভট্টাচার্যের সঙ্গে ভাইঝির সম্পর্ক ছিল। সায়ন বিবাহিত হওয়ার পরও আমার ভাইঝির সঙ্গে একটু প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেটা আমরা পরে ছোট ভাইঝির মুখ থেকে শুনেছি। ওর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। সন্ধেবেলা মেরে দিয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।”
প্রসঙ্গত, মৃত পারভিনের বাবা রসিদ মোল্লার মৃত্যুর পর সরকারি প্রতিশ্রুতি মত পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়া হয়। সেই সময়ই চাকরি পান রশিদের বড় মেয়ে গুলজার। ক্যানিং থানায় হোমগার্ডের চাকরিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। এরপর তাঁরই দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।