Caning Police Station: থানার কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার মহিলা হোমগার্ডের ঝুলন্ত দেহ, সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ! পরকীয়ার জের?
Canning: বছর দুয়েক আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড়ে গিয়ে খুন হন রেশমির বাবা রশিদ মোল্লা। তারপরই হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছিল বাড়ির বড় মেয়েকে। এখন সেই মেয়ের এই পরিণতিতে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। মৃতের পরিবারের তরফে যদিও ঘটনার পিছনে জন্য এক পুলিশ আধিকারিককেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।

ক্যানিং: থানার কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার করা হল মহিলা হোমগার্ডের দেহ। থানার সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের পরিবারের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বারুইপুর পুলিশ জেলার ক্যানিং থানার ক্যানিং পুলিশ কোয়ার্টারের মধ্য থেকেই উদ্ধার হয়েছে ২২ বছরের গুলজান পারভিন মোল্লা ওরফে রেশমির দেহ। তাঁর ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত জীবনতলা থানার উত্তর মৌখালী এলাকায়।
সূত্রের খবর, শুক্রবার ডিউটির পর ক্যানিং থানার পিছনের দিকে থাকা কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন ওই হোম গার্ড। কিন্তু তারপর থেকে তাঁর আর কোনও সাড়া পায়নি পরিবারের লোকজন। বারবার ফোন করা হলেও কেউ তোলেনি ফোন। শনিবারও সারাদিন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনও লাভ হয়নি। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে পরিবারের সদস্যরা চলে আসেন ক্যানিং থানায়। বোন রুকসানা খাতুন সোজা চলে যান কোয়ার্টারে। দরজা খুলতেই দেখা যায় সিলিং থেকে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় ঝুলছে রেশমির দেহ। দৃশ্য দেখে রুকসানা চিৎকার শুরু করলে বাকিরা ছুটে আসে। ক্যানিং থানার পুলিশ দ্রুত দেহ উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেম চিকিৎসকরা। শুরু হয় ময়নাতদন্তের তোড়জোড়।
প্রসঙ্গত, বছর দু’য়েক আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড়ে গিয়ে খুন হন রেশমির বাবা রশিদ মোল্লা। তারপরই হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছিল বাড়ির বড় মেয়েকে। এখন সেই মেয়ের এই পরিণতিতে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। মৃতের পরিবারের তরফে যদিও ঘটনার পিছনে জন্য এক পুলিশ আধিকারিককেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। ক্যানিং থানার সাব ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের দাবি সায়নের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল রেশমির সঙ্গে। বিষয়টি জানাজানি হওয়াতেই সে খুন করেছে বলে অভিযোগ। তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি করেছেন মৃতার কাকা ছয়েদ মোল্লা।
