Crime in Baruipur : ‘সবাইকে বলে দেব’, ভয় দেখিয়ে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে

Abhigyan Naskar | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 28, 2023 | 7:45 PM

Crime in Baruipur : বারুইপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হতেই বাড়ি ছেড়ে চম্পট অভিযুক্তের।

Crime in Baruipur : ‘সবাইকে বলে দেব’, ভয় দেখিয়ে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

বারুইপুর : ভুল বুঝিয়ে দিদির বাড়ি নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ। ঘটনার কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি। ভয় দেখিয়ে ফের উপর্যুপরি ধর্ষণ নাবালিকাকে। শেষে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাকে সব খুলে জানায় নির্যাতিতা। থানায় দায়ের অভিযোগ। কাঠগড়ায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র (Class XII student)। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে বারুইপুর থানা এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না অভিযুক্তর। সূত্রের খবর, অভিযুক্তকে আগে থেকেই চিনত নির্যাতিতা। সখ্যতা ছিল পরিবারের সঙ্গেই। সেই সূত্রেই, অভিযুক্ত যুবককে ভরসাও করত নাবালিকার (Minor Girl) পরিবারের সদস্যরা। কয়েকদিন আগে নাবালিকা আত্মীয়র বাড়ি যেতে চাইলে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র তাঁকে নিয়ে যেতে চায়। 

নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ মেয়েকে আত্মীয়র বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে অভিযুক্ত যুবক তাঁকে তাঁর দিদির বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করেন। ঘটনার কথা কাউকে বললে তাকে প্রাণে মারারও হুমকি দেন অভিযুক্ত। তবে এখানেই শেষ নয়। ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন চলতে থাকে একই ঘটনা। আর তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। মায়ের কাছে খুলে বলে গোটা ঘটনা। মেয়ের উপর চলা নারকীয় অত্যাচারের কথা শুনে থ হয়ে যান মা। সোজা চলে যান বারুইপুর থানায়। অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তকে বাড়িতে যায় পুলিশ। এদিকে পুলিশ আসার খবর পেয়ে ততক্ষণে বাড়ি ছেড়ে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর খোঁজে এলাকায় জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও। 

নির্যাতিতার মা বলেন, “আমার বাচ্চাকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়ে ওর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে ছেলেটা। প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়ে, সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েক বার এসব নোংরা কাজ করেছে। ভয়ে মেয়েটা প্রথমে আমাকে কিছু বলেনি। পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের সন্দেহ হয়। তখনই সব খুলে বলে। আমরা ওই ছেলেটার কঠোর শাস্তি চাই। পুলিশ দেখুক ও যাতে আর কোনও মেয়ের এই সর্বনাশ করতে না পারে।” 

Next Article