Complaint of medical negligence: নার্সরা ব্যস্ত মোবাইলে গেম খেলায়, চিকিত্সকের তো দেখাই নেই! মর্মান্তিক পরিণতি রোগীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 30, 2021 | 10:33 AM

Complaint of medical negligence:সোমবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে।

Complaint of medical negligence: নার্সরা ব্যস্ত মোবাইলে গেম খেলায়, চিকিত্সকের তো দেখাই নেই! মর্মান্তিক পরিণতি রোগীর
চিকিত্সার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চিকিত্সক ছিলেন না, অনেক ডাকাডাকিতে এসেছিলেন। তারপর ‘কোনওক্রমে’ রোগীকে দেখে দিলেও, নার্সরা দিলেন না পরিষেবা। রোগীর যখন অসহ্য পেটের যন্ত্রণা হচ্ছিল, তখন তাঁর পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার কর্তব্যরত নার্সদের ডেকেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, তাঁরা কেউ তো আসেননি, বরং নিজেরা ব্যস্ত ছিলেন মোবাইলে গেম খেলতেই। কেউ কেউ অবশ্য গেম খেলছিলেন না, তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন মোবাইলে কথা বলতে। অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। সময়টা এইভাবেই কেটেছে। পেটের যন্ত্রণা সহ্য করতে করতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন রোগী।  এবার বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠল। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। পেটের যন্ত্রণা নিয়ে বছর ছাব্বিশের জবেদা বিবি নামের ওই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সোমবার রাতে। কিন্তু বারে বারে বলা সত্ত্বেও দীর্ঘক্ষণ কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখতে আসেননি।

রোগীর পরিবারের বয়ান অনুযায়ী, অনেক ডাকাডাকিতে এক জন চিকিত্সক এসে জবেদাকে দেখে যান। কিন্তু তারপর তিনি নার্সদের কিছু পরিষেবা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই কাজগুলি সাধারণ হাসপাতালে নার্সরাই করে থাকেন। অভিযোগ, কর্তব্যরত নার্সরা কোনওভাবেই রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে তৎপর হননি।

রোগীর পরিবারের সদস্যরা যখন নার্সদের ডাকতে যান, তখন তাঁরা দেখেন কর্তব্যরত অবস্থাতেই কোনও নার্স মোবাইলে গেম খেলছেন, কেউ কথা বলছেন।  অভিযোগ, তার কিছুক্ষণ পরই  মৃত্যু হয় রোগীর। এরপরই রোগীর পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনার খবর পেয়ে বারুইপুর থানার বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

রোগীর এক আত্মীয়র অভিযোগ, “আমার দিদির পেটের ব্যথা হচ্ছিল। ন’টার সময়ে হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিত্সক একটা ইঞ্জেকশন লিখে দিয়েছিলেন। আমরা নার্সকে গিয়ে বলেছিলাম ইঞ্জেকশন দিতে। কিন্তু এতবার ডাকা সত্ত্বেও তাঁরা ইঞ্জেকশনটা দিতে আসেননি। সমানে মোবাইলে কথা বলে যাচ্ছিলেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হল দিদির।”

রোগীর আরেক আত্মীয় বলেন, “আমরা চিকিত্সককে ডাকি, তিনি তখন বলেন, আপনার কি একারই এমার্জেন্সি? আমার আরও এমার্জেন্সি কেস আছে। আধ ঘণ্টা পর এসে চিকিত্সক ইঞ্জেকশন লিখে দেন। কিন্তু নার্সদের ডাকতে ডাকতেই আরও সময় গেল। নার্সরা মোবাইলে কথা বলছিলেন। যতক্ষণে ইঞ্জেকশন দিলেন, ততক্ষণে আমার দিদি আর নেই।” এর আগেও বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে একাধিকবার চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: Kolkata Businessman Arrest: কোটি কোটি টাকার সোনা পাচার! শহরের বড় ব্যবসায়ী ইডির জালে

আরও পড়ুন: বুথে গিয়েই ভোট দিতে পারবেন করোনা আক্রান্তরাও, বিশেষ পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশনের

Next Article