AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bhangar: ‘ভাল করে ছবি নে, মরলে টাকা পাব’, ভাঙড়ে বোমা উদ্ধারে গিয়ে এ কী বলছে পুলিশ!

Bhangar: বুধবার কাশিপুর থানার পানাপুকুরে বোম ডিস্পোজাল টিম ছাড়াই বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের কাশিপুর থানার পুলিশ কর্তাদের খালি হাতেই বোমা উদ্ধার করতে দেখা যায়। তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

Bhangar: ‘ভাল করে ছবি নে, মরলে টাকা পাব’, ভাঙড়ে বোমা উদ্ধারে গিয়ে এ কী বলছে পুলিশ!
শোরগোল এলাকায় Image Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2024 | 4:50 PM
Share

ভাঙড়: আবারও তাজা বোমা উদ্বার ভাঙড়ে। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাশিপুর থানার অন্তর্গত পানাপুকুর এলাকার বাঁশবাগান থেকে থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করল কাশিপুর থানার পুলিশ। পরিত্যক্ত বাঁশবাগানে বোমা পরে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেয় কাশিপুর থানায়। খবর পেয়ে কাশিপুর থানার পুলিশ গিয়ে বোমা উদ্বার করে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এদিকে এই ছবি দেখে অনেকেই বলছেন ভাঙড় যেন আছে ভাঙড়েই! রাজনৈতিক সংঘর্ষ, রেষারেষি, কু-কথার রাজনৈতিক বিতর্কের পর এবার বোমা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক!  

বুধবার কাশিপুর থানার পানাপুকুরে বোম ডিস্পোজাল টিম ছাড়াই বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের কাশিপুর থানার পুলিশ কর্তাদের খালি হাতেই বোমা উদ্ধার করতে দেখা যায়। কর্মরত সাংবাদিককে আবার বললেন, ‘ভাল করে ছবি নে, মরলে টাকা পাব’। সোজা কথায় এদিন যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বোমাগুলি দেখানোর বাড়তি তাগিদ ছিল পুলিশের। তাঁর ভূমিকাতেও উঠছে প্রশ্ন।

কেউ কেউ বলছেন তিনি মনে হয় ভুলে গিয়েছেন বীরভূম জেলার নানুরে ঠিক একইভাবে বোমা উদ্ধার করতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। যাতে মৃত্যু হয়েছিল নওনেয়াল মির্জা নামের এক পুলিশ কর্মীর। তবে এদিন বোমা উদ্ধারে পুলিশের স্বতঃস্ফূর্ততা থাকলেও এ মাসের ১১ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পুলিশের ভূমিকা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। 

ভাঙড় দুই ব্লক অধিনস্ত পোলেরহাট টু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মিদ্দে পাড়ায় কলকাতা পুলিশের এআরএস টিম সাতটি বোমা উদ্ধার করে বলে খবর ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গেই এলাকার মানুষ জড়ো হয়ে যায়। বোমাগুলি দেখতে চাওয়ার আবদার করেন। পুলিশ না দেখালে পোলেরহাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্যরা। ঘটনার খবর পেয়ে ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষকে আসতে হয়। জমি কমিটির মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তীকে বুঝিয়ে সুজিয়ে কোনরকমে ম্যানেজ দেওয়া হয়। সাংবাদিকদেরও সেদিন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে থাকতে হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবি করতে দেওয়া হয় না। প্রশ্ন উঠছে সেদিন কেন বোমাগুলি দেখাতে উদাসীন ছিল পুলিশ? তাতেই বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ভাঙড়ের। এবার সংযোজন কলকাতা পুলিশের বোমা উদ্ধার।