ভাঙড় : রাজ্যে সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আইএসএফ-এর টিকিটে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভাঙড় এলাকায় নাকি ‘খুঁজে’ পাওয়া যাচ্ছে না তাঁকে। তাই, ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddique) ‘সন্ধান’ শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নিখোঁজের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ বলছেন, ভোটের সময় যেভাবে নওশাদ সিদ্দিকিকে এলাকায় দেখা যেত বর্তমানে তাঁকে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। কারও আবার দাবি, বিধায়ক কোটার কোনও টাকা এলাকার উন্নয়নে লাগেনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রচারকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না ভাঙড়ের বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলের লোকজন এসব করছে।
‘বিধায়ককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধান চাই।’ ভাঙড়ের বিধায়কের ছবি দিয়ে এমন পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই পোস্টকে হাতিয়ার করেই নওশাদকে আক্রমণ করল তৃণমূল। এলাকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, “ওনাকে আর এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আসলে উনি পীরসাহেবের বংশধর। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। কীভাবে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে তা তিনি জানেন না।”
তৃণমূল কংগ্রেসের আর এক নেতা কাইজার আহমেদের বক্তব্য, “বিধায়ককে পাওয়া গেল কি না তাতে ভাঙড়ের মানুষের কী যায় আসে। উনি ধর্মীয় ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে ভোটে জিতেছেন। বিধায়ক হওয়ার পর যা কাজ তা উনি করতে পারছেন না। সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্যও বিধায়কের ফোড়েরা টাকা নিচ্ছে।”
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেন নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, “তৃণমূলের চশমা পরে আছে যারা তারাই এসব কথা বলছে। সাধারণ মানুষ আমাকে দেখতে পান। আমি জন প্রতিনিধি। সবাইকে পরিষেবা দেওয়াই আমার কাজ। আমি ভাঙড়ের মানুষের পাশে সর্বদা আছি। আমি মাসে এক-দু’বার যাই। আমি না থাকলে সইয়ের প্রয়োজন হলে আমার প্রতিনিধিরা কাগজ সংগ্রহ করেন। তারপর আমি সই করলে প্রয়োজনে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসে।” তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “তৃণমূলের অনেক কর্মী সার্টিফিকেটের জন্য আমাকে ফোন করেন। কারণ, তাঁরা আমার কাছে আসতে পারেন না। আমি তাঁদের বলি আসার দরকার নেই। সার্টিফিকেটে সই করে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।” ভাঙড়ে হারানো জমি ফিরে পেতে তৃণমূল মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।