
কাকদ্বীপ: বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের ধাক্কায় গভীর সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল মৎস্যজীবীদের ট্রলার। উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল ১১ জনকে। কিন্তু, ৫ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে নামখানা উপকূলে নিয়ে আসা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে নিখোঁজ ৫ জনের মধ্যে ২ মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার হল। মৃতদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও ৩ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁদের নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।
গভীর সমুদ্র থেকে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-র কেবিনের ভিতর থেকে এদিন ভোররাতে নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর উদ্ধার হয়। মৎস্যজীবী সংগঠনের তরফে জানা গিয়েছে, মৃত রঞ্জনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। এবং আর এক মৃত সঞ্জীব কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনের ভিতরে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবীর দেহ আটকে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। তবে আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।
গত রবিবার ট্রলারটিতে করে ১৬ জন মৎস্যজীবী বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে ট্রলারটি ডুবে যায়। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ও অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের বক্তব্য, বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ এসে ইচ্ছে করে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে। তারপর পালিয়ে যায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে বাংলাদেশের নৌসেনার তরফে।
দুর্ঘটনার পর ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে গেলেও নিখোঁজ ছিলেন পাঁচজন মৎস্যজীবী। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে গতকাল গভীর রাতে টেনে নিয়ে আসা হয় নামখানার উপকূলে। এদিন ওই ট্রলারেরই কেবিন থেকে ২ মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত মৎস্যজীবীদের পরিজনরা। আরও তিন নিখোঁজ মৎস্যজীবীকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ওই মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলির অনুরোধ, নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।