ডায়মন্ডহারবার: এবার বাংলার এক পরিযায়ী মৎস্যজীবীর মৃত্যু হল কেরলে। মৃত দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের হারুডপয়েন্ট কোস্টাল থানার পূর্ব গঙ্গাধরপুরের বাসিন্দা ৪৫ বছরের হরি দাস। গত রবিবার তাঁর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছয় বাড়িতে। আজ বেলায় হরির মৃতদেহ পৌঁছয় কাকদ্বীপে। গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে কেরলে মৎস্যজীবী হিসেবে ট্রলারে কাজ করতেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। কয়েকদিন থেকে আবার ট্রলারে চলে যান।
গত শনিবার কেরলের কোল্লাম জেলার শক্তিকুলাঙ্গার বন্দরে সামুদ্রিক মাছ ধরছিলেন। সেইসময় ট্রলার থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান হরি। পরদিন রবিবার নদীর জলে ভেসে ওঠে হরির দেহ। ট্রলার থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
হরির সঙ্গে তাঁর দুই ভাই সহ কাকদ্বীপের ৯ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। বাড়িতে স্ত্রী এক ছেলে ও মেয়ে আছেন। ছেলে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বাবার মৃত্যু সংবাদে মাধ্যমিকের মাঝপথে দিশেহারা ছেলে রাজীব দাস। গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সামুদ্রিক মাছের আকাল। যারফলে অনেক ট্রলার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কাজের তাগিদে এই জেলার কয়েক হাজার মৎস্যজীবী কেরল সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য মৎস্যজীবী হিসেবে কাজ করছেন।