
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শরীরে অনেক প্রতিবদ্ধকতা রয়েছে। সঙ্গে সংসারে ছিল গার্হস্থ্য অনুশাসনও। বাবা মা সাফাই কর্মী হিসাবে কাজ করতেন। তবুও অনটনকে জয় করে তাঁর পরিচিতি ছড়িয়েছিল লাখো লাখো মানুষের মধ্যে। কলজে ভর্তি হয়েই একটি ইউটিউবে চ্যানেল খুলেছিলেন। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বিষয়, তাঁর রোজনামচার খবরই জনসমক্ষে আনতেন। তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছিল কিছুদিনের মধ্যেই সেই ইউটিউবারেরই মৃত্য়ু হল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। স্কুটিতে ধাক্কা মারে টোটোয়। স্কুটি থেকে ছিটকে পড়েন ওই ইউটিউবার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের নাম অমিত মণ্ডল (২৪)। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জের মুন্সিরহাট এলাকায়।
অমিত ফ্রেজারগঞ্জের শিবপুর জংশন এলাকার বাসিন্দা। শারীরিকভাবে তিনি বিশেষভাবে সক্ষম। বাবা-মা স্থানীয় পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন বাজারে সাফাইকর্মীর কাজ করেন। এবছরই নামখানা কলেজের প্রথম বর্ষের ভর্তি হয়েছিলেন অমিত। মঙ্গলবার দুপুরে বকখালির দিক থেকে স্কুটিতে তিনজন নামখানার দিকে যাচ্ছিলেন। স্কুটিতে একজন মহিলাও ছিলেন। জানা গিয়েছে, মুন্সি রোড বাস স্টপেজের কাছে একটি মোটর ভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে থাকা একটি দোকানের পিলারে ধাক্কা মারে অমিতের স্কুটি। ছিটকে পড়েন তিনজনেই। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ। পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দারা তিন জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে দ্বারিকনগর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পরেই তিন জনকে স্থানান্তরিত করা হয় কাকদ্বীপ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে। রাতে সেখান থেকে অমিতকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাত এগারোটা নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় অমিতের। ইউটিউবে তাঁর ব্লগে প্রায় ১০ লক্ষ ফলোয়ার্স রয়েছেন। প্রত্যেকেই এই খবরে অত্যন্ত মর্মাহত।