ডায়মন্ড হারবার: কলকাতা হাইকোর্ট থেকে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ পাওয়ার পর বৃষ্টির হাত থেকে দেহ বাঁচাতে মথুরাপুরের ঘাট বকুলতলা এলাকার নিহত যুবক আবুসিদ্ধিক হালদারের কবর ঢেকে দেওয়া হল ত্রিপল দিয়ে। সুন্দরবন পুলিশ জেলা সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ মেনে আগামীকাল শনিবার সকালে কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্ত করানো হবে। তবে আদালতের নির্দেশের কপি পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রের খবর। তবে আবু সিদ্দিকের মৃত্যুর চার দিন কেটে গেলেও বাড়িতে এখনো শোকের পরিবেশ কাটেনি। ছেলের মৃত্যুর পর থেকে বিছানা নিয়েছেন তাঁর মা। গ্রামের বাসিন্দা থেকে আত্মীয়-স্বজনেরা দুপুর থেকে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন নিহত যুবকের বাড়িতে।
গত সোমবার রাতে পার্কসার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর পর মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নীলরতন হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল দেহ। বুধবার বিকালে নিয়ম রীতি মেনে দেহ কবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, একটি চুরির ঘটনায় গত ২ তারিখ রাতে বাড়ি থেকে আবুসিদ্দিক হালদারকে ঢোলাহাট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর চুরির মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে থানার ভেতরে তাঁকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। গত ৪ তারিখ কাকদ্বীপ মহকুমা আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন সিদ্দিক।
তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় মথুরাপুর ব্লক হাসপাতালে। সেখান থেকে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কলকাতা চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল হয়ে পার্ক সার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আবু সিদ্দিক। নিহত যুবকের পরিবারের দাবি, আইন এবং আদালতের উপর ভরসা রয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের ফাঁসি চান তাঁরা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ঢোলাহাট সংক্রান্ত মামলাটি হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে ওঠে। আদালতের নির্দেশ, শনিবারের মধ্যে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। তার ভিডিয়োগ্রাফিও হবে বলে জানিয়েছে আদালত। সেই ফুটেজ সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে রাজ্যকে।