ডায়মন্ডহারবার: প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। একটি অনুষ্ঠানকে ঘিরে গোলমাল, হাতাহাতি, ভাঙচুর হয়। ঘটনায় মারপিট করে দু’পক্ষ। জখম হয়েছেন পাঁচ জন।
নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে কিছু সামগ্রী বিলির নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ডায়মন্ডহারবার ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূল যুব সভাপতি গৌতম অধিকারীর উদ্যোগে সেই সমস্ত সামগ্রী বিলি করা শুরু হয়। কপাটের হাটের একটি কমিউনিটি হলে বিতরণ অনুষ্ঠান চলাকালীন হাজির হন দলের সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি সুজাউদ্দিন সাঁফুই ও তার দলবল। সুজাউদ্দিনের অভিযোগ, তাঁকে অন্ধকারে রেখেই এই অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেন গৌতম। এবার এই নিয়েই গৌতম বনাম সুজাউদ্দিনের অনুগামীদের মধ্যে বচসা বাধে।
বচসা পৌঁছায় চরম পর্যায়ে। প্রথমে শুরু হয় হাতাহাতি। তারপর একে অপরকে উদ্দেশ্য করে হয় চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি। দু’পক্ষের এই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সুজাউদ্দিন সাঁফুই বলেন, “ওইখানে অনুষ্ঠান চলছিল। আমি গিয়ে গৌতম অধিকারীকে বললাম দাদা আমি তো দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। আমায় না জানিয়ে অনুষ্ঠান চলছে। আমি কি কেউ নই? আমায় জানালে না বিষয়টি? আমরা কি দলের কেউ না? প্রশ্ন করতেই সঙ্গে-সঙ্গে আমার জামার কলার ধরে বলল তুই কে?” অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে গৌতম অধিকারীকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এলাকার বিধায়ক পন্নালাল হালদার এই কোন্দলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।তিনি বলেন, “আমার সামনে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। আমায় বলা হয় ভিতরে গণ্ডগোল হয়েছে, আপনি এখন যাবেন না। তারপর আমি ঢুকলাম। তারপর সকলকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের যে সাংসদ মাননীয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে উপহার কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ করেছি।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের তিনটি পুরসভার। দু’টিতেই নেই কোনও বিরোধী।সব জায়গাতেই তৃণমূলের জয়-জয়কার। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলই দিনদিন এলাকায় অশান্তি বাড়িয়ে তুলছে।
আরও পড়ুন: College student Harassment: হাত দেখার নাম করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, পরে শ্রীঘরে ২ সাধুবাবা