ডায়মন্ড হারবার: দলীয় কর্মসূচির ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দলীয় কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শাসকদলের পাল্টা বক্তব্য, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ফলতার মল্লিকপুর এলাকায়। এই ঘটনায় বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী রাজু মিস্ত্রি গুরুতর আহত অবস্থায় আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া আরও দুই বিজেপি সমর্থক বিক্রম মণ্ডল ও গোরাচাঁদ নস্করকে দলীয় কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁদের মোবাইলে কেড়ে নিয়ে রেখে দেওয়া হয়।
অভিযোগ, আক্রান্ত বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী রাজু মিস্ত্রির মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সন্ধ্যা নাগাদ ফ্রিজ সারানোর নাম করে রাজুকে ফোন করে ডাকা হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
কোনওক্রমে বেঁচে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আক্রান্তরা। অনেক রাতে রাজুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজুর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। কালশিটে দাগ পড়ে গিয়েছে পিঠে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও এই ঘটনায় ফলতা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার রাজু মিস্ত্রি মেইলের মাধ্যমে পুলিশ সুপার, এসডিপিও ও আইসির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য, “এটাই শেষ নয়। আবারও আমার পরিবারের ওপর হামলা হতে পারে। আমাকেও শেষ করে দিতে পারে ওরা।” যদিও তৃণমূল নেত্রী মনমোহিনী বিশ্বাসের বক্তব্য, “ব্যক্তিগতভাবে লড়াইকে তৃণমূল দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওখানে বহু পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। সেগুলিকে রাজনৈতিকভাবে রং দেওয়া হচ্ছে।”
বিষয়টি ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে-র নজরে আসার পর চাপে পড়ে ফলতা থানা অভিযোগ নিয়ে মামলা রুজু করে।