Dilip Ghosh: ‘কেন্দ্রের টাকা কোথায় যায় কেউ জানে না’, সুন্দরবনের বাঁধ পরিদর্শনে এসে রাজ্যকে খোঁচা দিলীপের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

May 28, 2022 | 6:25 PM

Dilip Ghosh: উপকূলীয় এলাকায় বেহাল বাঁধের জন্য রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন দিলীপবাবু। বলেন, "প্রতিবছর বাঁধ সারাইয়ের জন্য কেন্দ্র থেকে প্রচুর টাকা আসে। কিন্তু কোনও কাজ হয় না। এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমে না।"

Dilip Ghosh: কেন্দ্রের টাকা কোথায় যায় কেউ জানে না, সুন্দরবনের বাঁধ পরিদর্শনে এসে রাজ্যকে খোঁচা দিলীপের
কাকদ্বীপে দিলীপ ঘোষ

Follow Us

কাকদ্বীপ : শুক্রবারের পর আজ আবার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার কাকদ্বীপ মহকুমার বিভিন্ন বেহাল নদী ও সমুদ্র বাঁধ ঘুরে দেখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার রাতেই তিনি পৌঁছে যান বকখালি। এরপর শনিবার সকালে বকখালিতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে চা চক্রে মিলিত হন তিনি। পরে বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ নামখানার হাতিকর্নার, অমরাবতী, পাতিবুনিয়া, হরিপুরের বেহাল বাঁধ ঘুরে দেখেন। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। উপকূলীয় এলাকায় বেহাল বাঁধের জন্য রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন দিলীপবাবু। বলেন, “প্রতিবছর বাঁধ সারাইয়ের জন্য কেন্দ্র থেকে প্রচুর টাকা আসে। কিন্তু কোনও কাজ হয় না। এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমে না।”

রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর চড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রের টাকা আসে আর যায়, কোথায় যায়, কেউ জানে না। কাদা দিয়ে বাঁধ তৈরি হয়, আবার ভেঙে যায়। কেন বাঁধগুলি পাকা হচ্ছে না? আমরা শুনেছি কেন্দ্রের থেকে কংক্রিট বাঁধের জন্য টাকা আসছে। কেন এই পরিস্থিতি, তা নিজের চোখে দেখতে এসেছি, তাই সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছি।”

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি আরও বলেন, “শীঘ্রই আমি কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখওয়াতের সঙ্গে দেখা করব। তাঁকে ছবি সহ বিস্তারিত রিপোর্ট দেব।” উল্লেখ্য, শুক্রবারও গোসাবায় নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন দিলীপ ঘোষ। স্থানীয় বালির বিদ্যামন্দির জেটি ঘাটে নেমে এলাকার বাঁধ ঘুরে দেখেন।

দিলীপ ঘোষ বলেন, “কাঁচা বালি, কাঁচা মাটি তুলে জেসিবি দিয়ে এখন বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যেক বছর ৬০০ কোটি টাকা দেয় বাঁধ তৈরির জন্য। বছরে দুইবার, তিনবার সেই অস্থায়ী বাঁধ হয়। আবার একটি কোটাল এলে, বৃষ্টি এলে, সব ধুয়ে গর্তে পড়ে যাবে। এখানকার সাধারণ মানুষ বহু বছর ধরে এই বিপদ নিয়েই বেঁচে আছেন। একটা পয়সাও ক্ষতিপূরণ কাউকে দেওয়া হয় না। আয়লা, ইয়াস, আমফান… নাম লেখানো হয়, ফর্ম ফিল আপ হয়, কিন্তু পায় না। আমাদের লোকেরা এখানে পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন দিয়েছিল বলে, ১৫০ লোকের নামে জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে তাঁদের বাড়ি ছাড়া করা হয়েছিল দেড় মাস। কেন্দ্রের টাকা সব লুঠ করে নেতারা দোতলা-তিনতলা বাড়ি করছে।”

Next Article