Ration Scam: রেশনের ১৫ হাজার কুইন্টাল চাল উধাও! সদুত্তর নেই ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে
Ration Scam: ডিস্ট্রিবিউটরের অধীনে কাকদ্বীপ ও নামখানা ব্লকে প্রায় ১০০ ডিলার আছেন। এই ডিলারদের চাল সরবরাহ করতেন এই ডিস্ট্রিবিউটর। ইতিমধ্যে অন্য ডিস্ট্রিবিউটরকে সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্তের পর প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাকদ্বীপ : রেশন দুর্নীতির অভিযোগে যখন রাজ্য জুড়ে চাপান-উতোর চলছে, তার মধ্যে উধাও হয়ে গেল রেশনের চাল। একটু-আধটু নয়, ১৫ হাজার কুইন্টাল চালের কোনও হিসেব দিতে পারলেন না রেশনের ডিস্ট্রিবিউটর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের এই ঘটনায় ফের শাসক দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই ওই ডিস্ট্রিবিউটরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে, বিরোধীদের দাবি, সাসপেন্ড করাই যথেষ্ট নয়। এফআইআর করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সাসপেন্ড হওয়া ডিস্ট্রিবিউটরের নাম অমিত কুমার ভগত। তাঁর গোডাউনে গিয়ে স্টক অর্থাৎ মজুত থাকা চালের হিসেব মেলাতে পারেননি বলেই দাবি জেলাশাসকের। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা জানিয়েছেন, স্টকে গরমিল পাওয়ার পর প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি, সে কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে কার্যত কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ডিস্ট্রিবিউটর অমিত ভগতের।
ডিস্ট্রিবিউটরের অধীনে কাকদ্বীপ ও নামখানা ব্লকে প্রায় ১০০ ডিলার আছেন। এই ডিলারদের চাল সরবরাহ করতেন এই ডিস্ট্রিবিউটর। ইতিমধ্যে অন্য ডিস্ট্রিবিউটরকে সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্তের পর প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি শ্রীমন্ত মালি বলেন, আমি বিষয়টা শুনেছি। তদন্ত চলছে। প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে। অন্যদিকে, বাম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, শুধু সাসপেন্ড করলেই চলবে না, এফআইআর করে কড়া শাস্তি দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কেন কোনও এফআইআর করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার সন্দেহ হচ্ছে প্রশাসনের কোনও যোগ থাকতে পারে।’