Awas Yojona: ‘দোতলা বাড়ি থাকলেও তৃণমূল করলেই পাবেন আবাসের বাড়ি’, TMC নেতার বক্তব্য ঘিরে চর্চা

Awas Yojona Controvercy: কেবল আবাস যোজনা নয়, লক্ষ্মীর ভান্ডারের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম পালিত হবে বলেও আশ্বাস দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য, এসআইআর পর্বে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। কারণ দেখা গিয়েছে, অনেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীও এই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। সেরকমই কয়েকজন আবার সংবাদমাধ্যমের কাছে তা স্বীকারও করেছেন।

Awas Yojona:  দোতলা বাড়ি থাকলেও তৃণমূল করলেই পাবেন আবাসের বাড়ি, TMC নেতার বক্তব্য ঘিরে চর্চা

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 28, 2025 | 8:03 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জয়নগরে তৃণমূল নেতার বিতর্কিত ভিডিয়ো ভাইরাল। তৃণমূল নেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, দু’তলা বাড়ি থাকলেও তৃণমূল কর্মীদেরকে আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হবে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ভাঙা বাড়ি থাকলেও, তাঁদেরকে আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হবে না। আর এই বক্তব্য সামনে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক শোরগোল। আবাসে দুর্নীতির অভিযোগে প্রথম থেকেই সোচ্চার বঙ্গ বিজেপি। কেন্দ্রের পাঠানো প্রতিনিধি দল এসে গোটা বিষয় খতিয়ে দেখে রিপোর্টও জমা করেছে। তার মধ্যে এই ভিডিয়ো সামনে আসতে স্বাভাবিকভাবেই চর্চা তুঙ্গে।

যাঁর ভিডিয়ো  ভাইরাল হয়েছে, তিনি হলেন জয়নগর বিধানসভার অন্তর্গত শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল তৃণমূল কনভেনর তথা দাপুটে নেতা বাবু গাজি ওরফে গাজি আবুল হোসেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর সেই বক্তৃতার ক্লিপিংস। একটি আঞ্চলিক কর্মসূচিতে তাঁকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলতে শোনা গিয়েছে, “যে সমস্ত দলের কর্মীরা তৃণমূলের ঝান্ডা ধরেন, তাঁদের দোতলা বাড়ি থাকলেও আবাস যোজনার বাড়ি তাঁদেরকেই একমাত্র দেওয়া হবে। আর যাঁরা এলাকায় বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল করেন, তাঁদের বাড়ি ভাঙা হলেও তাঁদেরকে আবাস যোজনার কোন সুবিধা দেওয়া হবে না।” কেবল আবাস যোজনা নয়, লক্ষ্মীর ভান্ডারের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম পালিত হবে বলেও আশ্বাস দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য, এসআইআর পর্বে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। কারণ দেখা গিয়েছে, অনেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীও এই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। সেরকমই কয়েকজন আবার সংবাদমাধ্যমের কাছে তা স্বীকারও করেছেন।

এর আগে দীর্ঘ বছর এসইউসিআই দলের দখলে ছিল শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানেও এখন তৃণমূল ক্ষমতায়। আর বিরোধী দল এখন বিজেপি। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এসইউসিআই দলের কর্মী সমর্থকরা ও বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকরা আদতেই ভাঙা  বাড়িতে প্লাস্টিক দিয়ে ঘিরে বাস করেন বলে গ্রামবাসীদেরই একাংশ জানাচ্ছেন।

এই নিয়ে শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন এসইউসিআই প্রধান সহদেব কয়াল বলেন, “আমরা বঞ্চিত। কারণ তৃণমূল ছাড়া সত্যিই কারোর কাজ হচ্ছে না। যেখানে বিজেপি একটু এগিয়ে, সেখানে তৃণমূল বলেই দিচ্ছে কোনও কাজ করবে না। লক্ষ্মীর ভান্ডার বোধহয় সবাই পাচ্ছে। কিন্তু আবাসের ঘরের ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে। বেছে বেছে দেওয়া হচ্ছে।”

বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন, “সরকারি সম্পত্তিকে তৃণমূলের বাবার সম্পত্তি ভেবেছে। এই মানসিকতাকে ধিক্কার জানাই। বাবু গাজির মতো অনেক নেতাই রয়েছে।”