দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রোগী দেখার সময়ে হাত টলছিল। কিছু বলতে গেলেই অশ্রাব্য গালিগালাজ। সন্দেহ হয়েছিল রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। সাতসকালেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন চিকিৎসক। বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা খবর দেন থানায়। পুলিশ এসে প্রশ্ন করতেই চিকিৎসকের পর্দাফাঁস। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার লস্করপুর থেকে গ্রেফতার ভুয়ো চিকিৎসক। নাম অশোক মণ্ডল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আলিপুরদুয়ারের এক চিকিৎসক মোহিত কুমার সাঁতরার রেজিস্ট্রেশন জাল করে চিকিৎসা করে করছিলেন তিনি। প্রায় আড়াই বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন তিনি। কোভিডের সময় এলাকার বাসিন্দাদেরও চিকিৎসা করেছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে।
এলাকাতেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে লাইফ ক্লিনিক নামেও একটি সেন্টার খুলেছিলেন। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। চিকিৎসা করার পাশাপাশি ডেথ সার্টিফিকেটও দিতেন অভিযুক্ত। অভিযুক্তকে সোমবারই বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করবে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
কিন্তু বিষয়টি কীভাবে প্রকাশ্যে এল?
অশোকের কাছে কয়েকজন রোগী এসেছিলেন চিকিৎসা করাতে। সে সময়ে চিকিৎসক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি গালিগালাজ করছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরই রোগীরা বিরক্ত হয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে অশোকের চেম্বারে পৌঁছয় পুলিশ। অশোককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। কথায় অসঙ্গতি থাকায় আরও চেপে ধরে পুলিশ। তাঁর নথি দেখতে চান। তাঁর কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হয়। পরে তা খতিয়ে দেখা যায় তাঁর নথি জাল। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।