ভাঙড়: বেলা যত বাড়ছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে শহর কলকাতার (Kolkata) ভোট চিত্র। বোমাবাজি, বুথদখল, ইভিএম ভেঙে ফেলার মত লাগাতার অভিযোগ উঠছে বিরোধী পক্ষের তরফে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই ‘শহরতলি’ থেকে উদ্ধার বন্দুক ও তাজা কার্তুজ।
দক্ষিণ ২৪ পরগণা ভাঙড়ের রাংসাড়া এলাকার ঘটনা। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম বাকিবিল্লা মোল্লা। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার আধিকারিকরা। রাংসাড়া এলাকায় এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার পুরভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শহর লাগোয়া এলাকার পুলিশ আঁটোসাঁটো নিরাপত্তরায় মুড়ে ফেলেছে এলাকা। আগের দিন থেকে চলেছে শহরের প্রবেশপথে নাকা চেকিং। কিন্তু এদিন সকালে গোপন সূত্রে এই অস্ত্র রাখার খবর আসে পুলিশের কাছে।
জানা যায়, দুই যুবক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় ঘুরছে। এরপরই ভাঙড় থানার পুলিশকর্মীরা বাসন্তী হাইওয়ের রাংসাড়া এলাকায় হানা দেয়। কিন্তু পুলিশের গাড়ি দেখে আগেই সাবধান হয়ে যায় এক দুষ্কৃতী। নিজেকে বাঁচাতে এলাকা ছেড়ে চম্পট্ দেয় সে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পলাতক দুষ্কৃতীর নাম রিংকা গাজী। চন্ডিপুর এলাকার বাসিন্দা সে।
যদিও অভিযানে পুলিশের জালে ধরা পড়ে বাকিবিল্লা মোল্লা নামে আরও এক দুষ্কৃতী। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ও তাজা কার্তুজ। ওই জেলারই মিনাখা এলাকার বাসিন্দা বাকিমিল্লাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশকর্মীরা। তাকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
আজকের দিনে কী উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে, পালাতক দুষ্কৃতী রিংকা গাজীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে সংলগ্ন এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গভীর রাতে বাসন্তী হাইওয়েতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একত্রিত হয়েছিল বাকিবিল্লা ও রিংকা। তবে আরও কী কী উদ্দেশ্য আছে তা জানার চেষ্টা চলছে। বাকিবিল্লা মোল্লাকে রবিবার বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।