
ডায়মন্ড হারবার: ভরসন্ধ্যায় ডায়মন্ড হারবার থানার কাছে অগ্নিকাণ্ড। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ ডায়মন্ড থানার বাইরে মজুত করা বাজিতে হঠাৎ আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। থানার মূল ভবনের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই।
থানার অদূরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এদিন। বিস্ফোরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তদন্তের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জানিয়েছে, আটক করা বাজিতে আগুন লেগেই এই ঘটনা ঘটে, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।
এদিন বিস্ফোরণের ভিডিয়ো পোস্ট করে এক্স মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “ডায়মন্ড হারবার থানা বিস্ফোরণে ভস্মীভূত। জানা যাচ্ছে আটক করা বিস্ফোরক থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। হারবার থানা ভয়াবহ আগুনে প্রায় ভস্মীভূত। দমকল আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও লিখেছেন, “অবৈধ বিস্ফোরক মজুত করা হচ্ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখার জন্যে দাবি জানাচ্ছি।”
ডায়মণ্ড হারবার থানা বিস্ফোরণে ভস্মিভূত !!!
ঘটনাস্থল ডায়মণ্ড হারবার থানা। যেটা জানা যাচ্ছে আটক করা বিষ্ফোরক থেকে বিস্ফোরণ ঘটে ডায়মণ্ড হারবার থানা ভয়াবহ আগুনে প্রায় ভস্মিভূত। দমকল আগুন নেভানোর প্রয়াস করছে।
যেমন এলাকা, তেমন থানা, অনুরূপ ঘটনা!
আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের… pic.twitter.com/ZrWojwgBh4— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) May 28, 2025
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ খোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “ডায়মন্ড হারবার থানায় উন্নয়নের বিস্ফোরণ হয়েছে। আমি আগেই বলেছি, এই রাজ্যে প্রতি দু’মাস অন্তর বিস্ফোরণ হবে।”
পরে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার থানার তরফে। ঘটনার সত্যতা হিসেবে থানার এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে যে, ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে দূরে পুকুর পাড়ে আটক করা কিছু বাজি জমা করে রাখা হয়েছিল। সেখানে সম্ভবত বজ্রপাত থেকে অগ্নিসংযোগ ঘটে। তৎক্ষণাৎ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সম্পূর্ণভাবে নিভিয়ে দেয়।
থানার তরফে আরও বলা হয়, এই ঘটনাকে ঘিরে থানায় অগ্নিসংযোগের কথা বলে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য সমাজমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃত অর্থে ডায়মন্ড হারবার থানায় এর বিন্দুমাত্র কোনও আঁচ লাগেনি এবং থানার কোনও কর্মচারীর কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।