TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক
Nov 27, 2021 | 5:28 PM
চারিদিকে জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র নদী। আর মাঝে রয়েছে একের পর এক জঙ্গল ঘেরা ব-দ্বীপ। আর সেখানেই থাকেন মহারাজ। যার এক একবার দর্শন পেতেই পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। পর্যটকরা একরাশ বুকে আশা নিয়েই পাড়ি দেন এই সুন্দরবনে।কিন্তু জঙ্গলের সেই মহারাজের দর্শন মেলাই ভার।অল্প স্বল্প পর্যটক দর্শন পেলেও বেশিরভাগ পর্যটকদের বাঘের দেখা মেলে না। তাই একরাশ হতাশা নিয়েই ফিরতে হয় বাড়িতে।
সেই সব পর্যটকদের যাতে আগামী দিনে হতাশ না হয়ে ফিরে যেতে না হয় সেই কারণেই একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্যের বন দফতর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা বন বিভাগ। ইতিমধ্যেই বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালিতে তৈরি করা হয়েছে ওয়াইল্ড আনিমেল পার্ক। যেখানে দু'টি বাঘ ইতিমধ্যেই রাখা হয়েছে। এটি অনেকটাই আলিপুর চিড়িয়াখানার মতনই। যেখানে গেলেই পর্যটকদের বাঘের দর্শন মেলে। সেই সাথে শুধু বাঘ দিয়ে মন ভোলানো নয়। তার সাথে রাখা হয়েছে ১১ টি কুমির যার মধ্যে রয়েছে সাদা রংয়ের প্রজাতির বিশেষ কুমির।
বনদপ্তর এর ধারণা, বাঘ,কুমিরের সাথে সুন্দরবনের হরিণ এক বিশেষ আকর্ষণ এর বস্তু মূলত পর্যটকদের। তাই ওখানেই নতুন একটি ডিয়ার পার্কে একুশটি হরিণ রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে পর্যটকরা একবার যদি ঝড়খালি ওয়াইল্ড আনিমেল পার্কে পা রাখে তাহলে বাঘ,কুমিরের সাথে হরিণ দর্শন করতে পারবে। ফলে সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে বাঘ,কুমির দেখতে না পেয়ে বিমর্ষ হয়ে পর্যটকদের বাড়ি ফিরতে হয় এখন থেকে আর তা হবে না।
সেই সঙ্গে এখানে করা হয়েছে একটি পশু চিকিৎসালয়। কেননা অনেক অনেক সময়ে বাঘ অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা লোকালয়ে চলে আসার পর অনেকক্ষেত্রে জখম হয়।সেই সমস্ত বাঘ কিংবা জীবজন্তুদেরকেও চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হত আলিপুর পশু চিকিৎসালয়।ফলে এই নতুন চিকিৎসালয় হওয়ায় সুন্দরবনের পরিবেশের মধ্যে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে।