Hilsa Fish Trawler: ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ডুবল ট্রলার, বরাত জোরে বাঁচলেন ১৬ মৎস্যজীবী
Hilsha: যদিও পরে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে উদ্ধার করা হয়। কাছি দিয়ে নামখানা ঘাটে টেনে আনার ব্যবস্থা করা হয় ওই ট্রলারটি। গত ৫ তারিখ নৈনানের গাজিপুরের ঘাট থেকে ১৬ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে এফবি রাজেশ্বরী ট্রলারটি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ইলিশ বোঝাই ট্রলার ডুবল সাগরে। এক বিদেশি জাহাজ ধাক্কা মারে ইলিশ ভর্তি ট্রলারে। এরপরই গভীর সাগরে ডুবে যায় সেটি। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জম্বুদ্বীপ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে। দুর্ঘটনার পরেই কিছুটা দূরে মাছ ধরতে থাকা মৎস্যজীবীদের অন্যান্য ট্রলার এগিয়ে এসে ডুবে যাওয়ার ট্রলারের ১৬ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে। ট্রলারটিতে প্রায় ১ টন ইলিশ ছিল। ট্রলারডুবির কারণে ভেসে যায় সমস্ত মাছ। এই ঘটনার জেরে বড়সড় ক্ষতির মুখে ট্রলার মালিকরা।
যদিও পরে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে উদ্ধার করা হয়। কাছি দিয়ে নামখানা ঘাটে টেনে আনার ব্যবস্থা করা হয় ওই ট্রলারটি। গত ৫ তারিখ নৈনানের গাজিপুরের ঘাট থেকে ১৬ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে এফবি রাজেশ্বরী ট্রলারটি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল। মাছ ধরে ফেরার পথে এই বিপত্তি ঘটে। মাঝ সাগরে পড়ে কিছুটা অসুস্থও হয়ে পড়েন ধীবররা। যদিও পাশের ট্রলারগুলি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে স্বাভাবিক করেন।
কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনার নৈনান গাজিপুরে রাজেশ্বরী ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল। শুক্রবার রাত আড়াইটে তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। গভীর সমুদ্রে ট্রলারটা তখনও মাছ ধরছিল। জাল পাতাই ছিল। একটা বিদেশি জাহাজ ভুল করে ধাক্কা মেরে দেয়। তাতেই আমাদের ট্রলারটা ডুবে যায়। ১৬ জন মৎসজীবী ছিলেন। তাঁরা সকলেই জলে পড়ে যান। যদিও আশেপাশে অন্য যেসব ট্রলার মাছ ধরছিল তাঁরা বড় বিপদ থেকে বাঁচান। তবে মাছ পুরোটাই জলে। জালেরও ক্ষতি হয়েছে।”