প্রয়াত গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রয়াত হলেন সুন্দরবনের গোসাবা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। তিন বারের দাপুটে বিধায়ক জয়ন্তবাবু বয়জনিত অসুস্থতার কারণে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রয়াত গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 19, 2021 | 10:14 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রয়াত হলেন সুন্দরবনের গোসাবা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। তিন বারের দাপুটে বিধায়ক জয়ন্তবাবু বয়জনিত অসুস্থতার কারণে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। একুশের নির্বাচনেও জয়লাভ করেছিলেন। তার পর তিনি করোনায় সংক্রমিত হন। বেশ কিছু দিন এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার পর বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সেখানেই শনিবার রাত আটটা কুড়ি মিনিট নাগাদ মারা যান গোসাবার বিধায়ক। করোনা থেকে সেরে উঠলেও ফুসফুসে সংক্রমণ জাঁকিয়ে বসেছিল। শেষ পর্যন্ত শনিবার মৃত্যু হল বিধায়কের।

জয়ন্তবাবু ১৮৮৭ সাল থেকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে, কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করে ১৮৮৭-তে বামেদের কাছে পরাস্ত হতে হয় তাঁকে। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১১ সালে জয় পান। এরপর ২০১৬ সালে অবশ্য জোড়া-ফুল প্রার্থী হিসাবে গোসাবায় জয়যুক্ত হন তিনি। তার পর একুশেও জয়লাভ করেন।

একদা বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত সুন্দরবনের গোসাবা বিধানসভা এলাকায় ২০১১ সালের পর থেকেই পরিবর্তনের হাওয়া বইয়েছেন তিনিই। পর পর তিনবার এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের পোড় খাওয়া নেতা।

একুশের ভোটে তাঁকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বরুন ওরফে চিত্ত প্রামাণিককে গোসাবা কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি। তারপর গোসাবায় সভা করে গিয়েছেন খোদ অমিত শাহ। কিন্তু তার প্রভাব ভোটবাক্সে পড়েনি। ২৩ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারান জয়ন্ত নস্কর।

আরও পড়ুন: বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবেশ তৈরি, কেন্দ্র যে কোনওদিন ব্যবস্থা নিতে পারে: সায়ন্তন 

জয়ন্তবাবুর  রাজনৈতিক জীবন শুরু পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে। বাসন্তী ব্লকের চুনোখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’বারের প্রধান এবং একবারের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন তিনি। যে কোনও দিন খুন হয়ে যেতে পারেন, সেই ভয়েই নিজেরই মূর্তি গড়ে বছর দুয়েক আগে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন এই তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন বিরোধী নেতারাও।