Sonarpur: ব্ল্যাকমেইল, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত ছবি, অপমানে গলায় দড়ি কিশোরীর
Girl hanging body found: সোনারপুর থানা এলাকায় ওই কিশোরী মামার বাড়িতে থাকত। গতকাল বাড়িতে সন্ধের দিকে কেউ ছিল না। স্কুল থেকে ফিরে বাড়িতে ফিরে একাই ছিল কিশোরী। সেইসময় এই ঘটনা ঘটে। পরে কিশোরীর মাসি বাড়িতে এসে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

সোনারপুর: আর কয়েকমাস পরই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিত। কিন্তু, কিছুদিন ধরেই বাড়িতে মনমরা হয়ে থাকত। বাড়ির বাইরে বেরতে চাইত না। অবশেষে বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের। মৃত ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করা হত। AI দিয়ে বিকৃত ছবি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়া হয়েছিল। সেই অপমানে কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
মৃত কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, এলাকারই এক যুবক তাদের মেয়েকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করত। ছাত্রীর বেশ কিছু ছবি প্রযুক্তির সাহায্যে নগ্ন করে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্তের অন্য এক প্রেমিকাও আছে। সেই প্রেমিকা ছবি ভাইরাল করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পারার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল কিশোরী।
সোনারপুর থানা এলাকায় ওই কিশোরী মামার বাড়িতে থাকত। গতকাল বাড়িতে সন্ধের দিকে কেউ ছিল না। স্কুল থেকে ফিরে বাড়িতে ফিরে একাই ছিল কিশোরী। সেইসময় এই ঘটনা ঘটে। পরে কিশোরীর মাসি বাড়িতে এসে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। পুলিশ অবশ্য এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মৃত কিশোরীর মা বলেন, “মেয়ে মনমরা হয়ে থাকতন। মেয়ে আমাকে বলেছিল, ওরা আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। আমি বলতাম, কিছু হবে না। মন দিয়ে পড়াশোনা কর। কিন্তু, আমার মেয়ে চরম পদক্ষেপ করল। AI-র মাধ্যমে ওর বিকৃত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেয়। এমনকি, আমার মেয়েকে মারতে বাড়িতেও এসেছিল। আমি চাইব, সবার যেন কঠোর শাস্তি হয়।”
