
বারুইপুর: সমস্যা চলছিল বিয়ের পর থেকেই। সন্দেহের বশে প্রায় প্রতিদিনই জুটত মার। মদ্যপ অবস্থায় স্বামীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতেই বছর কয়েক আগে সংসার ছেড়েছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু তারপরও শেষরক্ষা হল না। থানায় গিয়ে শেষ চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। বাঁশ বাগানের মধ্যে মিলল লাশ।
স্ত্রী’র গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এরপর নিজেও গলায় ব্লেড চালিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন স্বামী। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের শঙ্করপুর ২ পঞ্চায়েতের কেশবপুর এলাকায়।
একটি নির্জন বাঁশ বাগানের মধ্যে দু’জনের দেহ পড়ে থাকতে দেখে এদিন পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গুরুতর জখম অবস্থায় স্বামীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে ব্লেড উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সাগিরা বিবি(২৯)। তাঁর বাড়ি মন্দিরবাজার থানা এলাকার টেকপাজায়। জখম আসলাম মণ্ডল শঙ্করপুর ১ পঞ্চায়েতের পূর্ব দাদপুর মণ্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে ওই মহিলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকেই টেনে নিয়ে যান তাঁর স্বামী। মহিলা থানায় গেলেও, তাঁর স্বামী সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান বলেও অভিযোগ।
পরিবারের দাবি, সন্দেহের বশে স্ত্রীকে মারধর করতেন ওই যুবক। এমনকী বাবা, মা বা ভাই ফোন করলেও সন্দেহ করতেন স্বামী। তাঁর শাস্তির দাবি জানাচ্ছে পরিবার।