
চম্পাহাটি: দত্তপুকুরের (Dutta Pukur) নীলগঞ্জে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যুর পর জোরদার চাপানউতর চলছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। এদিতে কয়েকমাস আগেই একই ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল এগরায়। তারপরও কেন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ-প্রশাসন? কেন বারবার অবনতি হচ্ছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির? এ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এরইমধ্যে এবার বারুইপুরের চম্পাহাটিতে পোলট্রি ফার্মের ভিতর থেকে উদ্ধার হল প্রচুর শব্দবাজি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন দিনভর ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হল এলাকায়।
এদিকে বাইরে থেকে দেখলে পোলট্রি ফার্ম ছাড়া অন্য কিছু মনে হবে না। কিন্তু, ভিতরে ঢুকতেই দেখা গেল থরেথরে সাজানো রয়েছে প্রচুর শব্দবাজি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন চম্পাহাটির হারালের ওই ফার্মে হানা দেয় পুলিশ। বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস, বারুইপুর থানার আইসি সৌমজিৎ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই এলাকায় অভিযানে যায়।
সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ সেল-সহ অনেক শব্দবাজি উদ্ধার হয়। অভিযান চালাতে গিয়ে ওই পোলট্রি ফার্মের মধ্যে বাজি কারখানারও খোঁজ মেলে। সেখান থেকেও প্রচুর নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়। যদিও বাজি উদ্ধার হলেও কারখানার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এখনও পর্যন্ত খোঁজ পায়নি পুলিশ। তাঁদের খোঁজ চলছে। যদিও অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এসডিপিও বারুইপুর। তবে শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, একই ছবি উত্তরবঙ্গেও। দত্তপুকুরের ঘটনার পর গোটা রাজ্যেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকালে জলপাইগুড়ির দিনবাজার, কামার পাড়া-সহ একাধিক জায়গায় বেআইনি বাজির গুদামে অভিযান চালায় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ শব্দবাজি।