মগরাহাট: ২০১৯ সালে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হিন্দোল উঠেছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। মাস পাঁচেক আগেও পানিহাটিতে নেতাজির (Netaji) মূর্তি ভেঙে দু’টুকরো করে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ ছিল, মাঝরাতে অজ্ঞাত পরিচয় চার যুবক এসে পানিহাটি-সোদপুর এম এন মুখার্জি রোডে থাকা ওই নেতাজি মূর্তি ভেঙে ফেলে। এবার সেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে (Netaji Subhash Chandra Bose) অপমান করার অভিযোগ উঠল মগড়াহাটের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। যার প্রতিবাদে এবার পথে নামল পদ্ম ব্রিগেড।
রবিবার সকালে বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে বিষ্ণুপুর থানা ঘেরাও করা হয়। জাতীয় পতাকা হাতে থানার সামনে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। গণডেপুটেশনও জমা দেওয়া হয়েছে থানায়। তবে এদিনের কর্মসূচিতে বিজেপির কোনও দলীয় পতাকা ছিল না। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে নেতাজির বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য ও মূর্তিতে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগতে থাকেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। তাঁকে গ্রেফতারির দাবিও ওঠে।
এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী বিনয় চক্রবর্তী বলেন, “দেশনায়ক নেতাজি সম্পর্কে এক ছাত্র যে ভাষায় গালিগালাজ করেছে, যেভাবে নেতাজি মূর্তিতে চড় মেরেছে তা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। যাতে ভবিষ্যতে অন্য কেউ কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামী বা দেশনায়ক নেতাজির বিরুদ্ধে এ ধরনের কাজ না করতে পারে সে জন্য আমাদের এই প্রতিবাদ। প্রায় ১০০ জন ছাত্র-যুবকে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছি। ইতিমধ্যেই ছেলেটাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে প্রতি থানাতেই এই প্রতিবাদ কর্মসূচি করা দরকার। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই সাহস না দেখায়।”
নেতাজি মূর্তিকে চড় মারার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করার পাশাপাশি বিজেপিকে এক হাত নিয়ে বজবজ ২ এর সহকারী সভাপতি বুচান ব্যানার্জি বলেন, “সিপিএম আমলে বাংলার মুনি-ঋষিদের ভুলতে বসেছিল মানুষ। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে নেতাজিকে চেনাতে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন। যে ছেলেটি এই কাজ করেছে তাঁর আমি নিন্দা জানাই। প্রশাসন এ ব্যাপারটা দেখবে। তবে যাঁরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে। তাঁদের মুখে কিছুই মানায় না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে।”