ISF-TMC Clash: রাস্তা নিয়ে দড়ি টানাটানি TMC ও ISF-এর, পারপার করতে ভয় পাচ্ছেন ভাঙড়ের মানুষ

ISF-TMC Clash: অভিযোগ, সম্প্রতি এলাকায় আইএসএফ ও তৃণমূলের দ্বন্দ্বে মাঝের পাড়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে মল্লিক পাড়ার লোকজন মাঝের পাড়ায় অবস্থিত মসজিদে যেতে পারছেন না।

ISF-TMC Clash: রাস্তা নিয়ে দড়ি টানাটানি TMC ও ISF-এর, পারপার করতে ভয় পাচ্ছেন ভাঙড়ের মানুষ
রাস্তা নিয়ে ঝামেলা (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2023 | 1:07 PM

ভাঙড়: একটি ঢালাই রাস্তা। আর তাকে ঘিরেই যাবতীয় প্রশ্ন। আখেরে কার সেই রাস্তা? তৃণমূলের নাকি আইএসএফ (ISF)-এর। যদিও, দু’পক্ষই দাবি করছে রাস্তার মালিক তারা। তাই নিজেদের ইচ্ছামতো রাস্তা বন্ধ করে রাখছে তারা। এমনটাই অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

দু’দলের এই বাদানুবাদে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁরা অভিযোগ তুলছেন, রাস্তা বন্ধের কারণে মসজিদ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যেতে পারছেন অনেকে। হাসপাতালে যেতেও অসুবিধা হচ্ছে। এমতাবস্থায় দু’দলই একে অপরের বিরুদ্ধে দ্বারস্থ হয়েছে থানায়। তরজা এমনই চরমে, পঞ্চায়েতে কড়া নাড়লেও কোনও সুরাহা পাননি স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাঙড় ১ ব্লকের প্রাণগঞ্জ পঞ্চায়েতের অধীন বড়ালি গ্রামের মাঝের পাড়া থেকে মল্লিক পাড়া হয়ে নলমুড়ি হাসাপাতাল পর্যন্ত একটি ঢালাই রাস্তা রয়েছে। যে রাস্তাটি দু’টি পাড়ার কয়েকশো মানুষ ব্যবহার করেন। দু দশক আগে স্থানীয় মানুষরাই নিজেদের ব্যবহারের সুবিধার জন্য জায়গা দান করে মাটির রাস্তা তৈরি করেন। বছর দশেক আগে ওই রাস্তা তৃণমূল সরকার ঢালাই করে দেয়।

অভিযোগ, সম্প্রতি এলাকায় আইএসএফ ও তৃণমূলের দ্বন্দ্বে মাঝের পাড়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে মল্লিক পাড়ার লোকজন মাঝের পাড়ায় অবস্থিত মসজিদে যেতে পারছেন না। পাল্টা মল্লিক পাড়ার আইএসএফ সমর্থকরা মাঝের পাড়াকে ‘জব্দ’ করার জন্য তাঁদের পাড়ার রাস্তা আটকে দিয়েছে। ফলে মাঝের পাড়ার লোকেরা নলমুড়ি হাসাপাতাল,অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যেতে পারছেন না।

আইএসএফের দাবি, রাস্তা নিয়ে তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। রাস্তার কিছুটা অংশ দখল করে একজনের বাড়ি করে দিয়েছে। পরে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা আহসান মোল্লা বলেন, “রাস্তা নিয়ে আইএসএফ-ই নোংরা রাজনীতি করছে। এভাবে রাস্তা বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলা ঠিক হচ্ছে না।”