দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তখন বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে চলেছে। জয়নগর (Joynagar) থানার মহিষমারি এলাকায় তখন কাজ গুটিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন চাষি ভাইরা। আর সেই সময়ে তাঁদের নজরে আসে ধান জমির মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বিদ্যুতের হাই টেনশন খুঁটিতে কে যেন একজন উঠছেন! দেখেই তো চক্ষু চড়কগাছ। শুরু হয় তাঞ্জাম! প্রথমে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে থাকেন চাষিরা। তাঁকে সতর্ক করার চেষ্টা করেন। বিদ্যুতের খুঁটি থেকে নামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও বিপত্তি। যতই চিৎকার করতে থাকেন তাঁকে নামানোর জন্য, সেই ব্যক্তি ততই বেয়ে উঠতে থাকেন। বিষয়টি হাতের বাইরে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ক্যাম্পের পুলিশকে।
পুলিশের তরফে দ্রুত খবর পৌঁছয় বিদ্যুৎ দফতরে। তারপর বিশাল সাজসরঞ্জাম। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় ওই এলাকায়। পৌঁছয় দমকলও। ওই ব্যক্তিকে কোনও ক্রমে বুঝিয়ে নামানো হয়। জানা গিয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি চাষের জমির আশপাশে ইতঃস্তত ঘোরাঘুরি করছিলেন। তখনই নজরে পড়ে ওই বিদ্যুতের খুঁটিতে। আচমকাই খামখেয়ালিপনায় উঠে পড়েন হাইটেনশনের ওই বিদ্যুতের খুঁটিতে। আর তাঁকে দেখতেই ভিড় জমে এলাকায়। জয়নগর থানার পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতর, দমকল বাহিনীর তৎপরতায় ওই ব্যক্তিকে নামানো হয়। ততক্ষণে অবশ্য সন্ধ্যা পেরিয়ে অন্ধকার গ্রাস করেছে গোটা এলাকা। প্রশাসনের তরফে ওই ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “সে কী ভয়ানক কাণ্ড। সন্ধ্যা নামার মুখে দেখি হঠাৎ বিদ্যুতের খুঁটি বেয়ে তরতরিয়ে উপরে উঠছে। যতই ডাক পারছি, ততই সে উপরে উঠছে। যে কোনও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যেতেই পারত। কোনওক্রমে তাঁকে রক্ষা করা গিয়েছে।” আরেক ব্যক্তি বলেন, “দেখে মনে হচ্ছিল কোনও অশরীরী। দেখেই ভয় লেগে গিয়েছিল।”