Joynagar TMC Leader Murder: থানা থেকে পঞ্চায়েত, সেলাম ঠুকত সবাই, কে এই সইফুদ্দিন?
Joynagar TMC Leader Murder:সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ভাবে জয়ী হয় তৃণমূল। অভিযোগ ওঠে সেই সময় বিরোধীদের প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায়নি। মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন সইফুদ্দিন আগে সিপিএম করতেন। রাজ্যে পালাবদলের পর ধীরে ধীরে তৃণমূলে যোগ দেন।
জয়নগর: সোমবার সাত সকালে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় খুন হন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর (৪৩)। তারপর থেকেই অগ্নিগর্ভ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। কিন্তু কে এই সইফুদ্দিন? কীভাবেই বা তিনি এত ‘প্রভাবশালী’ হলেন? যাকে খুনের পর এভাবে জ্বলল একের পর এক সাধারণ গ্রামবাসীর বাড়ি?
সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ভাবে জয়ী হয় তৃণমূল। অভিযোগ ওঠে সেই সময় বিরোধীদের প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায়নি। মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন সইফুদ্দিন আগে সিপিএম করতেন। রাজ্যে পালাবদলের পর ধীরে ধীরে তৃণমূলে যোগ দেন। মুহুরীর কাজ করতেন প্রথম দিকে। এর পাশাপাশি পোস্ট মাস্টারের কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন সইফুদ্দিন। অভিযোগ, লোকাল থানায় তিনি ‘ডাক মাস্টার’ হিসাবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। সেই সময় থানার পুলিশের সঙ্গেও তাঁর সখ্যতা গড়ে উঠেছিল বলে সূত্রের খবর।
জানা যাচ্ছে, সইফুদ্দিনের নিজস্ব অনুগামীও ছিল। অসময়ে দলের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টও করতেন তিনি। এরপর থেকেই দলের নির্ভরযোগ্য কর্মী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। এই সইফুদ্দিনের বিরুদ্ধেই আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৮ সালে স্ত্রী সেরিফা বিবি লস্করকেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে প্রধান পদ হাসিল করেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে নিজেও দাঁড়ান। স্ত্রী প্রধান হন। সাইফুদ্দিন পঞ্চায়ে সদস্য হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়নগর এলাকায় মোট ছ’টি পঞ্চায়েত তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল। এলাকার বিধায়কের খুব ঘনিষ্ঠও ছিলেন তিনি। এককথা অঞ্চলের শেষ কথা ছিলেন তিনি। মৃতের বাবা জানিয়েছেন এর আগেও তাঁকে খুনের চেষ্টা হয়েছিল। তাঁর স্ত্রীও স্বীকার করেছিলেন, দলের অন্দরেই বিরোধী তৈরি হয়েছিল এই তৃণমূল নেতার।