দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফেরার সাদ্দামের বাড়ির গোপন সুড়ঙ্গে পুলিশের তল্লাশি। ভিতরে কিছু ভারী বস্তু থাকার সম্ভাবনা। কুলতলিতে সোনা ও মূর্তি পাচারের অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনায় সাদ্দাম সর্দার ও সাইরুল সর্দার নামে দুজনের নাম উঠে এসেছে। বিরোধীদের অভিযোগ শাসকদলের ছত্রছায়ায় এই গোপন কারবার চালাচ্ছিল কুলতলির সাদ্দাম ও সাইরুল।
সোমবার কুলতলির পয়তারহাটে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে আচমকাই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পয়তারহাট এলাকা। পাচারের অভিযোগে সাদ্দাম ও সাইরুলকে ধরতেই পুলিশ গিয়েছিল। কিন্তু গ্রামে পুলিশ ঢুকতেই বাড়ি মহিলারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বাড়ির মহিলারা সাদ্দামকে পুলিশ হাত থেকে ছিনিয়ে পর্যন্ত নেন বলে অভিযোগ। গোটা উত্তেজনার ফাঁকে পালিয়ে যায় সাদ্দাম ও সাইরুল। পুলিশ তাঁদের ধরতে না পেরে দুজনের স্ত্রীকে গ্রেফতার করে। এরপর সাদ্দামের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বাড়ির খাটের নীচে ‘রহস্যময়’ সুড়ঙ্গের হদিশ মেলে।
পুলিশ জানাচ্ছে, নিখুঁত পরিকল্পনা মাফিক সাদ্দাম ঘরের সঙ্গে লাগোয়া খালের মধ্যেই একটি সুড়ঙ্গ নির্মাণ করে রেখেছিল। আর সেই সুড়ঙ্গের মধ্যেই ভারী কিছু বস্তু রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই তাঁর বাড়ি সিল করে রেখেছে পুলিশ। সাদ্দাম আগেও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। নকল মূর্তি ও নকল সোনার কম দামে দেওয়ার নাম করে লোকজনকে প্রতারণা টাকা হাতিয়ে নেওয়া। ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, যে ওই এলাকায় নকল সোনা ও মূর্তির নাম করে লোকজনকে খুন পর্যন্ত করেছে সাদ্দাম। সেই দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে খালের জলে।