Kultali Tiger: এক রাতেই খেল শেষ! ছাগল দেখে লকলকে জিভ, পা বাড়াতেই ফাঁদে রয়্যাল বেঙ্গল

Kultali Tiger: বাঘটি যেখানে ঘাপটি মেরে বসে ছিল, সেই এলাকা নাইলনের জালের সঙ্গে স্টিলের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। সন্ধ্যায় সেখানে পাতা হয় একটি লোহার খাঁচা।

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 10, 2022 | 9:33 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পায়ের ছাপেই মিলেছিল তার আগমন বার্তা। রাত পোহানোর আগেই খাঁচাবন্দি হল সে। সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকে দেউলবাড়ি- দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পেটকুল চাঁদ ও সাবুর আলি কাটা এই দুই জায়গার মধ্যবর্তী ম্যানগ্রোভের বাদাবনের তার টাটকা পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামে। মাঝে কয়েক দিনের ব্যবধান। বাঘ যে নতুন করে গ্রামে ঢুকেছে, উল্কা গতিতে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর যায় বনদফতরের কাছেও। বনকর্মীরা এসে খোঁজখবর শুরু করেন।  এরপর বনদফতরের রায়দিঘি রেঞ্জের কুলতলি বিটের বনকর্মীরা বাঘের পায়ের ছাপ অনুসন্ধান করতেই তার সাক্ষাৎ মেলে। আশঙ্কা সত্যি হয়। কোনওরকম ভাবে ঝুঁকি নেননি বন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনদফতরের এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী।

বাঘটি যেখানে ঘাপটি মেরে বসে ছিল, সেই এলাকা নাইলনের জালের সঙ্গে স্টিলের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। সন্ধ্যায় সেখানে পাতা হয় একটি লোহার খাঁচা। তার মধ্যে ছাগলের টোপও দেওয়া হয়। আর তাতেই বাজিমাত। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সেই ছাগলের লোভেই বনদফতরের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বসে বাঘ। তারপর রণহুঙ্কার!

আওয়াজ শুনেই সচেতন হয়ে পড়েন বনকর্মীরা। বাঘকে খাঁচাবন্দি দেখে নিশ্চিন্ত হন তাঁরা। এরপর দ্রুত সেই খাঁচা-সহ বাঘটিকে নিয়ে বনদফতরের বোটে চাপিয়ে রওনা দিয়ে দেওয়া হয়। একেবারে সুন্দরবনের বন দফতরের বনি ক্যাম্পের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঘটিকে। মনে করা হচ্ছে, যে আজমলমারি ১ নম্বর জঙ্গল থেকেই বাঘটি কোনওভাবে বেরিয়ে চলে এসেছিল পেটকুলচাঁদ ও সাবুর আলি কাটা এলাকার দিকে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ধরা পড়া ওই বাঘের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন পশু চিকিৎসক। তারপর বনদফতরের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ মাফিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাকে দূরের জঙ্গলে নিজের পরিবেশে ফেরানো হবে কিনা। বাঘ ধরা পড়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বন কর্মীরা।

বন কর্মী জানান, “পায়ের ছাপ দেখে নিশ্চিত হই বাঘ ঢুকেছে। তার খাঁচা পাতা হয়। পূর্ণবয়স্ক কিনা এখনই বলা যাবে না। শারীরিক অবস্থা কেমন তা চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখবেন। আগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা সিদ্ধান্ত নেবেন, বাঘটিকে জঙ্গলে ফেরানো হবে কিনা।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পায়ের ছাপেই মিলেছিল তার আগমন বার্তা। রাত পোহানোর আগেই খাঁচাবন্দি হল সে। সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকে দেউলবাড়ি- দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পেটকুল চাঁদ ও সাবুর আলি কাটা এই দুই জায়গার মধ্যবর্তী ম্যানগ্রোভের বাদাবনের তার টাটকা পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামে। মাঝে কয়েক দিনের ব্যবধান। বাঘ যে নতুন করে গ্রামে ঢুকেছে, উল্কা গতিতে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর যায় বনদফতরের কাছেও। বনকর্মীরা এসে খোঁজখবর শুরু করেন।  এরপর বনদফতরের রায়দিঘি রেঞ্জের কুলতলি বিটের বনকর্মীরা বাঘের পায়ের ছাপ অনুসন্ধান করতেই তার সাক্ষাৎ মেলে। আশঙ্কা সত্যি হয়। কোনওরকম ভাবে ঝুঁকি নেননি বন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনদফতরের এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী।

বাঘটি যেখানে ঘাপটি মেরে বসে ছিল, সেই এলাকা নাইলনের জালের সঙ্গে স্টিলের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। সন্ধ্যায় সেখানে পাতা হয় একটি লোহার খাঁচা। তার মধ্যে ছাগলের টোপও দেওয়া হয়। আর তাতেই বাজিমাত। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সেই ছাগলের লোভেই বনদফতরের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বসে বাঘ। তারপর রণহুঙ্কার!

আওয়াজ শুনেই সচেতন হয়ে পড়েন বনকর্মীরা। বাঘকে খাঁচাবন্দি দেখে নিশ্চিন্ত হন তাঁরা। এরপর দ্রুত সেই খাঁচা-সহ বাঘটিকে নিয়ে বনদফতরের বোটে চাপিয়ে রওনা দিয়ে দেওয়া হয়। একেবারে সুন্দরবনের বন দফতরের বনি ক্যাম্পের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঘটিকে। মনে করা হচ্ছে, যে আজমলমারি ১ নম্বর জঙ্গল থেকেই বাঘটি কোনওভাবে বেরিয়ে চলে এসেছিল পেটকুলচাঁদ ও সাবুর আলি কাটা এলাকার দিকে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ধরা পড়া ওই বাঘের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন পশু চিকিৎসক। তারপর বনদফতরের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ মাফিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাকে দূরের জঙ্গলে নিজের পরিবেশে ফেরানো হবে কিনা। বাঘ ধরা পড়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বন কর্মীরা।

বন কর্মী জানান, “পায়ের ছাপ দেখে নিশ্চিত হই বাঘ ঢুকেছে। তার খাঁচা পাতা হয়। পূর্ণবয়স্ক কিনা এখনই বলা যাবে না। শারীরিক অবস্থা কেমন তা চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখবেন। আগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা সিদ্ধান্ত নেবেন, বাঘটিকে জঙ্গলে ফেরানো হবে কিনা।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা