দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্যের মহিলাদেরকে যাতে স্বামী-সন্তানদের কাছে হাত খরচের জন্য টাকা চাইতে না হয়, সেই কারণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের জন্য চালু করেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। কিন্তু সেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা থেকেও কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠল রাজীব নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সাইবার ক্যাফেতে চালান তিনিয লক্ষ্মীর ভান্ডারের এক হাজার টাকা অনলাইনে অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে গেলে প্রতিবারই ওই ব্যবসায়ী ৩০০ টাকা করে কেটে নেন বলে অভিযোগ আকলিমা গাজি নামে ওই মহিলার।
ঘুটিয়ারিশরিফের বাসিন্দা আকলিমা ক্যানিং মহকুমা শহরের রাস্তার পাশের হোটেলে রান্নার কাজ করেন। সেখান থেকে যতটুকু রোজগার হয়, তা দিয়ে সংসার ঠিকমতো চলে না। তাই লক্ষ্মীর ভান্ডারই তার অন্যতম ভরসা। কিন্তু সেই টাকা স্থানীয় এক অনলাইনের দোকান থেকে তুলতে গেলে ওই দোকানদার সেখান থেকে প্রতি মাসেই ৩০০ টাকা কেটে নেন বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে সোমবার স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি ও পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন আকলিমা। অভিযোগ, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান প্রদীপ দাস।
ওই মহিলা বললেন, “আমি অনলাইনে টাকা তুলি। প্রত্যেক মাসে আমাকে ৭০০ করে টাকা দেয়, বলে ৩০০ করে কেটে নিচ্ছে। কোনও মাসেই আমাকে ১০০০ টাকা করে দেয় না। এই মাসে পুরো টাকাটাই কেটে নিয়েছে। বলছে কোনও টাকা দেয়নি। তোমার ১৪ টাকা রয়েছে। তখন আমি অন্য জায়গা থেকে চেক করেছি। সেখানে দেখাচ্ছে ৭ তারিখেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আমি তখন বলি, আমি তো টাকা তুলিনি। তখন ওখান থেকে আমাকে একটা স্টেটমেন্ট দেয়, বলে ওকে গিয়ে দেখাও। তারপর অনেক বলতে, ও আমাকে বলল, ভাবি আমি যে তোমার থেকে ৩০০ টাকা করে কেটেছি, সব মিলিয়ে দিয়ে দিচ্ছি, ১০০০ টাকাও দিয়ে দিচ্ছি। মানে ও বলতে চাইছে, আমি যাতে আর কাউকে কিছু না জানাই। ”
মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রদীপ দাস বলেন, “যে দোকানদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে আমরা ডেকেছি। এই নিয়ে তদন্ত হবে। অভিযোগ সত্য হলে, অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।”