AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Lovely Maitra: গ্রামের মাচায় কর্মিসভায় অভিনেত্রী বিধায়কের বিতর্কিত ভিডিয়ো ভাইরাল, দায় ঝাড়ছে তৃণমূল!

Lovely Maitra: রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মন্তব্য, নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে অনেক নেতা-নেত্রীই সংগঠনের পাঠ দেন। কিন্তু তা বলে 'দল থাকলে উপার্জন হবে', একজন বিধায়ক কেন কর্মীদের উদ্দেশে সেকথা বলবেন?

| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2024 | 2:56 PM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: “লোকসভা ভোটে হারলে সদস্যদের পদত্যাগ করিয়ে দেব।”  সোনারপুরের কর্মিসভা থেকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন বিধায়ক লাভলি মৈত্র। দিয়েছেন, গ্রুপবাজি বন্ধ করে দল ঠিক করার নিদান। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের আরও বার্তা দিয়েছেন, “দল থাকলে তবেই তো টাকা উপার্জন হবে?” আর তা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

সোনারপুরের কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন লাভলি। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আর দু’মাস খুব বেশি হলে। আর তারপরই লোকসভা নির্বাচন। বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন চলছে। তবে আপনাদের কিছু কিছু জনের ফাজলামোর জন্য… প্রত্যেকটি অঞ্চলে এমন কিছু কিছু মানুষ রয়েছে, যাঁরা কোনও দলেরই নয়। সকালে তৃণমূল, রাতে বিজেপি, দুপুরে সিপিএম। দল থাকলে সব থাকবে।” এরপরই লাভলি বলেন, “দল থাকলে রোজগার হবে। দলটা না থাকলে কিছুই হবে না। কোথা থেকে কী করেন, কোথা থেকে কী আসে, আমার কাছে সব খবর রয়েছে। দলটা না থাকলে তো সেটা হবে না।” আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মন্তব্য, নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে অনেক নেতা-নেত্রীই সংগঠনের পাঠ দেন। কিন্তু তা বলে ‘দল থাকলে উপার্জন হবে’, একজন বিধায়ক কেন কর্মীদের উদ্দেশে সেকথা বলবেন? দৃশ্যত কোনও কর্পোরেট সংস্থার কোনও বস কর্মীদের টার্গেট ফিক্স করে দিচ্ছেন, আর তা না হলে উপার্জন না হওয়ার ভয়ও দেখাচ্ছেন।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সরব বিরোধীরাও। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “ওঁর উদ্বেগের মূল কারণটা আমরা জানি। কারণ মূল লক্ষ্যটাই হচ্ছে টাকা তোলা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মানুষ যেভাবে সরে যাচ্ছে, কেউ হতাশ হয়ে সরে যাচ্ছে, সেখান থেকেই ওঁর উদ্বেগ বাড়ছে। দলের যে মূল লক্ষ্য টাকা তোলা, সেটাই সহজ সরলভাবে বলেছেন।”

অন্যদিকে, লাভলির বক্তব্যের দায় ঝেড়েছে তৃণমূল।  তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “কে কী বলছেন, আমি তাঁর দায়িত্ব নেব না। তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠী নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেত্রী, সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আপোশ করে না।”