ডায়মন্ড হারবার: দুর্ঘটনার খবর মুহূর্তে বদলে গেল খুশির খবরে। ম্যাটাডর উল্টে যাওয়ার খবর পেয়ে, ছুটে এসেছিলেন যাঁরা। বাড়ি ফেরার সময় তাঁদেরই হাতে, ব্যাগে ইলিশ ভরা। এমনকী শাড়ির কোঁচড়ে কিংবা জামা-প্যান্টের পকেট থেকেও উঁকি দিচ্ছে রূপোলি শস্য। কাকদ্বীপের কাকদ্বীপের কালিনগর দাসপাড়ার কাছে শুক্রবার বিকেলে ইলিশ বোঝাই এক ম্যাটাডর উল্টে যাওয়ায় এই দৃশ্য দেখা গেল। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় ইলিশভর্তি ওই গাড়ি। ক্যারেটবোঝাই প্রায় তিন টনের বেশি ইলিশ ছড়িয়ে পড়ে জাতীয় সড়কের ধারে। দুর্ঘটনার পরেই গাড়ির চালক ও খালাসি পালিয়ে যায়।
এদিকে ইলিশের গাড়ি উল্টানোর খবর ছড়াতেই ছুটে আসেন দলে দলে লোকজন। বাড়ির ছেলে বুড়ো থেকে শুরু করে মেয়ে বউয়েরা। কোলে বাচ্চা নিয়েও মাছ দেখতে ভিড় জমান অনেকে। এরপরই ইলিশ কুড়োতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। প্রথমে এসেছিলেন দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই যে গ্রাম, সেখানকার লোকজন।
মুহূর্তে আরও অনেক দূরই পৌঁছে যায় ইলিশ-গড়াগড়ির খবর। এরপরই রবাহুতের মতো আশপাশের গ্রাম থেকে কয়েক শো বাসিন্দা এসে ভিড় জমান। তবে ইলিশের গাড়ির দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হারউড পয়েন্ট উপকূল থানার পুলিশও। পুলিশ দেখে কেউ কেউ আবার কাছিয়ে ইলিশ নিয়ে দে ছুট!
তবে বেশিরভাগ ইলিশই উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন ট্রলার মালিক। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আবারও ক্যারেটে ইলিশ তুলে দেওয়া হয়। ম্যাটাডর ভরে উদ্ধার হওয়া ইলিশ নিয়ে কাকদ্বীপ থেকে ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজার মৎস্য আড়তের পথে রওনা দেয়।