
বারুইপুর: একটুর জন্য প্রাণটা বেঁচে যায়। ভর সন্ধ্যায় যে এমনটাও ঘটতে তা কেউ ভাবতেও পারেনি। একজন নাবালক কারওর নিশানায় আসতে পারে?
ঘটনা বারুইপুরের মল্লিকপুর এলাকার। সন্ধ্য়ায় হঠাৎ করেই এক নাবালকের উপর চড়াও হয় দুই-তিন জন দুষ্কৃতী। এরপর চপার দিয়ে চলে একের পর এক কোপ। ছুটে আসে স্থানীয়রা। প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর ভাবে জখম হয় সে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকাতেই থাকে আহত নাবালক। সন্ধ্যায় তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। তারপর তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে পাঠিয়ে দেওয়া এসএসকেএম হাসপাতালে।
মঙ্গলবার রাতেই কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে ওই নাবালককে। কিন্তু কারা আক্রমণ করল? কেনই বা নাবালক কিছু মানুষের চক্ষুশূল হয়ে ওঠে সে? এদিন তার মা বলেন, ‘এটা প্রথম নয়। এর আগেও মেরেছিল। সেবার মাথা ফেটে গিয়েছিল। কিন্তু কী কারণে মেরেছে বলতে পারব না।’ অন্যদিকে আহত নাবালকের দিদির দাবি, ‘ভাই নিজের মতোই কাজে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই দু-তিন জন নাবালক সেখানে আসে। এরপর চপার নিয়েই ওর উপর হামলা চালায়।’
ইতিমধ্য়ে নাবালকের পরিবার তরফে স্থানীয় বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে পুলিশি নিস্ক্রিয়তারও অভিযোগ তুলেছে তারা। জানিয়েছে, আগের বার যখন হামলা চালিয়েছিল অভিযুক্তরা তখনও পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি।