AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অটিজমে আক্রান্ত মেয়ের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বাবা, বাড়িতে একা মা, তারপর যা হল…, ঘিরে ধরছে রহস্য

Father-Daughter: কয়েকদিন আগেই ট্যাংরার ঘটনায় শিউরে উঠেছিল রাজ্যবাসী। খুন নাকি আত্মহত্যা, সেই রহস্যের কিণারা করতে তদন্ত এখনও চলছে। এরই মধ্যে আরও একটি ঘটনা সামনে এল।

অটিজমে আক্রান্ত মেয়ের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বাবা, বাড়িতে একা মা, তারপর যা হল…, ঘিরে ধরছে রহস্য
বাবা ও মেয়েImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 01, 2025 | 6:11 AM
Share

মহেশতলা: ট্য়াংরা-কাণ্ডের ছায়া কাটতে না কাটতেই ফের একই পরিবারের দুই সদস্য়ের দেহ উদ্ধার। বাবা ও মেয়ের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। অটিজমে আক্রান্ত মেয়ের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বাবা। বাড়িতে ছিলেন মা। কথা ছিল, মেয়েকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরবেন বাবা। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যায় নামার পরও কেউ বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মা। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ খবরটা জানাজানি হয়।

মৃত ব্যক্তির নাম স্বজন দাস, তাঁর বয়স আনুমানিক ৫৩ বছর। মেয়ে সৃজা দাসের বয়স ২২। তাঁদের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার নুঙ্গি এলাকায়। শকুন্তলা পার্কে ছিল স্বজন দাসের অফিস। চিমনি ফিল্টারের ব্যবসা ছিল তাঁর। সেই অফিস থেকেই শুক্রবার উদ্ধার হয়েছে দুজনের দেহ। দুপুর ১টা নাগাদ তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

বাবা ও মেয়ে দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন স্বজনবাবুর স্ত্রী। পরিবারের সদস্যদের ফোন করতে থাকেন তিনি। এরপর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ স্বজন দাসের এক বন্ধু শকুন্তলা পার্কের অফিসে গিয়ে দেখেন বাবা ও মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। ফ্যানের হুকে আটকানো ছিল দড়ির দুই প্রান্ত। আত্মহত্যা নাকি খুন? গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় লালবাজারের একটি টিম।

জানা গিয়েছে মেয়ে সৃজা ছোট থেকেই অটিজমে আক্রান্ত ছিলেন। বহু জায়গায় চিকিৎসা করেও কোনও সুফল পাওয়া যায়। রাজ্যের বাইরেও চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন বাবা। এই নিয়েই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন স্বজন দাস। সেই কারণে আত্মহত্যা কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।