
কুলতলি: বিয়ে হয়েছিল মাত্র দেড় বছর আগে। কিন্তু, এরইমধ্য়েই শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল দেহ। মৃত্যুর ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্যের মেঘ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য কুলতলি থানা এলাকার দেউলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। মৃতার নাম মনোয়ারা মোল্লা (২০)। তার বাপের বাড়ি বারুইপুর থানা এলাকায়। বছর দেড়েক আগে মনোয়ারার সঙ্গে বিয়ে হয় মাঝিদুল মণ্ডলের (২৩) । এই মাঝিদুলের পরিবারের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ তুলছে মনোয়ারা মোল্লা।
পরিবার সূত্রে খবর, সম্পর্কের সূত্রপাত ফোনালাপ থেকে। এরপর একদিন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করে নেয় মাঝিদুল। কিছুদিন স্ত্রীর বাড়িতে থাকার পর তাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরেও যায়। বিয়ের সময় পণের টাকা, সোনার গয়না-সহ সবই দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি মৃতার পরিবারের। তবুও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবি করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এমনকি মেয়ের বাবার অভিযোগ, মাঝিদুলের অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এই বিষয় নিয়ে মনোয়ারা প্রতিবাদ করলে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। অভিযোগ, স্পষ্টতই জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁকে হয় সতীনের সঙ্গে ঘর করতে হবে কিংবা প্রাণ দিতে হবে। মনোয়ারার বাবা ইমান আলি শেখের আরও অভিযোগ, মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাও কঠিন হয়ে উঠেছিল। ফোনে কথা বলতে দেওয়া হত না।
বুধবার মনোয়ারার বাপের বাড়ি আসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই রাত সাড়ে আটটা নাগাদ খবর আসে, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সে। বাবা বলছেন, এদিকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত মনোয়ারা বাপের বাড়িতে পরিবারের সবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে। সূত্রের খবর, ঘটনার সময় বাড়িতে ছিল না মনোয়ারার স্বামী-শ্বশুর! তাঁরা ভিন রাজ্যে কাজে রয়েছেন। বাড়িতে শ্বাশুড়ি, ছোট দেওর ও ছোট ননদ রয়েছে। মনোয়ারার পরিবারের স্পষ্ট অভিযোগ, এটা কোনওভাবেই আত্মহত্যা নয়। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। পরিবারের সকলে মিলে মেয়েকে খুন করেছে। ইতিমধ্যেই কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে পুলিশ। চাপা উত্তেজনা এলাকায়।