
কলকাতা: নাবালিকা ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ (Suicide) উদ্ধারে ব্যাপাক চাঞ্চল্য বজবজে। ঘটনাটি ঘটেছে বজবজের (Budge Budge)চকনবাসন এলাকায়। পরিবারের সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে ছোটো বোনের সঙ্গে পড়তে বসে অর্পিতা খাতুন (১৫) নামে ওই ছাত্রী। এরপরেই অনলাইনে ক্লাসের জন্য ছোটো বোনের থেকে ফোন চাইলে তার মা ফোন চার্জ না থাকার কারণে ফোনটি চার্জে দেওয়ার কথা বলে। ফোন ঘাঁটার বদলে অন্য পড়ায় মন দিতে বলে। এরপরই অর্পিতা পড়তে যাচ্ছি বলে চলে যায় নিজের ঘরে। কিন্তু, ততক্ষণে ঘটে গিয়েছে অন্য ঘটনা।
দীর্ঘক্ষণ সাড়াশব্দ না পেয়ে দিদিকে ডাকতে যায় ছোট বোন। কিন্তু, ঘরে গিয়ে দেখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে দিদি। কিছু মুহূর্ত আগে যে মেয়েটি পড়তে বসেছিল তারই নিথর দেহ ঝুলছে সিলিং থেকে। সঙ্গে সঙ্গে সে ডাকে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের। ঝুলন্ত অর্পিতাকে দেখা বাকরুদ্ধ হয়ে যান পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এরপরেই খবর যায় বজবজ থানায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তড়িঘড়ি ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বজবজ ইএসআই হাসপাতালে। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষ। নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
সূত্রের খবর, অর্পিতা বজবজ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ক্লাস নাইনে পড়ত। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। পরিবারের সদস্যদের অনুমান ফোন না পাওয়ার অভিমানেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী। তবে পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। এদিকে ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় অর্পিতার পরিবারের পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বজবজ থানার পুলিশ।