দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিকালে বান্ধবী ডাকতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অনেক ডেকেও সাড়া মেলেনি। ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে তিনিই প্রথম বিষয়টি দেখতে পারেন। গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে তাঁর বান্ধবী। বাড়িতে তখনও উপস্থিত তাঁর বাবা। কিন্তু অবাক বিষয়, তিনি কার্যত নিরুত্তাপ। সন্দেহ তখনই হয়েছিল বান্ধবীর। তিনিই তখন পাড়া প্রতিবেশীদের ডাকেন। তাঁরাই খবর দেন থানায়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর এলাকায়। মৃতের নাম সুদেষ্ণা নস্কর (১৮)। মেয়েকে খুনের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। বাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়ার কালীতলায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সুদেষ্ণা নস্কর ও তাঁর বাবা অবিনাশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অবিনাশ ছোটোখাটো কাজ করতেন। এক বছর আগে অবিনাশের স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয় ওই বাড়ি থেকে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এলাকারই অন্য এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে অবিনাশের। অবিনাশের স্ত্রী তাঁর মেয়ের নামে অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা রেখেছিলেন। সেই টাকাই হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অবিনাশ। আর সেই কারণেই মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, টাকা হাতাতে স্ত্রীকেও খুন করেছেন অবিনাশ। মৃত সুদেষ্ণার মামাবাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খুন নাকি তা আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ঘটনায় অবিনাশ নস্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বাড়ির মালিক ও অন্যান্য ভাড়াটিয়াদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সুদেষ্ণার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।