AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Narendrapur: নিজের সময় মতো কোচিংয়ে ডাকতেন শিক্ষক, ফাঁকা রুমে দিনের পর দিন ঘৃণ্য ঘটনা

Narendrapur: জানা যাচ্ছে, নরেন্দ্রপুরে একটি কোচিং সেন্টার খুলেছিলেন ওই শিক্ষক। তিনি ইংরাজি শেখাতেন। ওই কোচিং বছর খানেক আগে ভর্তি হয়েছিলেন ছাত্রী।

Narendrapur: নিজের সময় মতো কোচিংয়ে ডাকতেন শিক্ষক, ফাঁকা রুমে দিনের পর দিন ঘৃণ্য ঘটনা
নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের নির্যাতিতার
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2022 | 10:50 AM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শিক্ষক তাঁকে নিজের খুশি মতো সময়ে কোচিংয়ে ডেকে নিতেন। ইংরাজি পড়ানোর নাম করে। শিক্ষকের কথায় বিশ্বাসও করেছিলেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। ফাঁকা ঘরে মেয়ের সঙ্গে আদৌ শিক্ষক কী করছেন, তা জানারও চেষ্টা করেননি সেভাবে। ভাবতেন, হয়তো মেয়েকে ইংরাজি শেখাচ্ছেন শিক্ষক। কিন্তু তার আড়ালেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ। দিনের পর দিন কোচিং সেন্টারে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন চলে নির্যাতন। কাউকে বললে, দেওয়া হত খুনের হুমকিও। অভিযোগ তেমনই। লজ্জায় ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুরে। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা যাচ্ছে, নরেন্দ্রপুরে একটি কোচিং সেন্টার খুলেছিলেন ওই শিক্ষক। তিনি ইংরাজি শেখাতেন। ওই কোচিং বছর খানেক আগে ভর্তি হয়েছিলেন ছাত্রী। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, কোচিংয়ে অনেক সময়ে একাই ছাত্রীকে ডেকে নিতেন ওই গৃহশিক্ষক।

ছাত্রীর অভিযোগ, ফাঁকা ঘরে ওই শিক্ষক তাঁকে ধর্ষণ করে। কাউকে জানালে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। এই ভয় দেখিয়ে তাঁকে এরপরেও একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন ছাত্রী। ভয়ে প্রথমে বাড়িতে কাউকে জানাতে পারেননি ছাত্রী। পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। মা বিষয়টি দেখতে পেয়ে যান। তখনই জিজ্ঞাসা করলে কান্নায় ভেঙে পড়েন ছাত্রী। তারপরই গোটা বিষয়টি মাকে জানান।

বৃহস্পতিবারই ছাত্রীর মা নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করলেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানার লস্করপুর এলাকার ওই কোচিং সেন্টারটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।