ভাঙড়: কান্নার শব্দ আসছিলই অনেকক্ষণ। অনরগল শব্দ। কিন্তু কেউ বুঝে উঠতে পারছিলেন না কোথা থেকে আসছিল সেই শব্দ। তারপর ইতি-উতি খুঁজতেই সামনে এল আসল ঘটনা। পটল পাতা সরাতেই উদ্ধার সদ্যোজাত সন্তান। কে বা কারা ফেলে রেখে গিয়েছে তা জানতে পারা যায়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ঘটনা। সাত সকালে মাঠে পটল তুলতে গিয়েছিলেন এক কৃষক। সেই সময় শিশুর কান্নার শব্দ ভেসে আসে। এরপর পটল পাতা সরাতেই দেখেন মাটির মধ্যে ধুলো-কাদা মেখে অনরগল কেঁদে চলছে একরত্তি। এরপরই তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে মাঠ থেকে রাস্তায় আনেন। কাশীপুর থানায় খবর দেন।
পুলিশ শিশুটিকে জিরানগাছা গ্রামীণ হাসাপাতালে ভর্তি করে। এরপর শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে কে বা কারা ওই দুধের শিশুকে পটল খেতে ফেলে গিয়েছেন তার তদন্ত শুরু করেছে কাশীপুর থানা।
এই ব্যাপারে ভাঙড় ২ ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক হিরণ্ময় বসু বলেন, ‘শিশু দীর্ঘক্ষন জল, দুধ না পেয়ে অসুস্থ হয়ে গেছে।ওর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে তাই উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আজকে সকাল বেলা মাঠে গিয়েছিল একজন। মাঠে গিয়ে দেখছে পটল ক্ষেতের ভিতর একটি শিশু কাঁদছে। সেই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হল। উদ্ধার করার পর হাসপাতালে নিয়ে আসল। বর্তমানে শিশুটির অবস্থা খুবই খারাপ। আরজিকরে পাঠান হয়েছে। তবে যে এই কাজ করেছে সে খুবই অমানবিক কাজ করেছে।’