দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কুলতলিতে নদী বাঁধ ভেঙে মাছ চাষের পুকুরে, চাষের জমিতে ঢুকে পড়েছে নোনা জল। এর জেরে যে শুধু চাষেরই ক্ষতি তাই নয়, পচা মাছের দুর্গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত। ইতিমধ্যেই পাম্পের মাধ্যমে জমি থেকে নোনা জল বের করার চেষ্টা চলছে।
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, যে সমস্ত চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে গিয়েছে, যতটা সম্ভব পাম্পের মাধ্যমে সে জল বের করতে হবে। বাকিটায় ‘নোনা স্বর্ণ’ ধানের চাষ হবে। একই ভাবে নোনা জলে চাষ করা হবে ‘স্বর্ণ মৎস্য’ও।
কিন্তু সে সব তো পরে হবে। আগে যে মাছগুলি পচেছে সেগুলির ব্যবস্থা করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সুন্দরবন এলাকার কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ, মৈপীঠ- বৈকুন্ঠপুর, গুড়গুড়িয়া- ভুবনেশ্বরী, দেউলবাড়ি-দেবীপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় নদী বাঁধ ভেঙে অথবা নদী বাঁধ উপচে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে মাতলা ও ঠাকুরান নদীর জলে। মূলত কৃষি নির্ভর এই এলাকার অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। মাথায় হাত কৃষক ও মৎস্যজীবীদের।
আরও পড়ুন: জলের তলায় গ্রামকে গ্রাম, তবু এক ঢোক জলের জন্য ভরসা বনকর্মীরা
গ্রামে, গ্রামে নদীর জল ঢোকার ফলে সমস্ত পুকুরের চাষ করা দেশি মাছ মরে পচতে শুরু করেছে। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। একই অবস্থা চাষের জমিতেও। এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। একবার নদীর নোনা জল ঢুকে পড়লে কয়েক বছর সেই জমি কিংবা পুকুরে ধান, সব্জি বা দেশি মাছ চাষ করাই যায় না। তবে ভরসার আলো বলতে আসন্ন বর্ষা।
বৃষ্টির মিষ্টি জল পুকুর বা জমিতে ধরে রাখতে পারলে জমি এবং পুকুর থেকে লবণের ভাব অনেকটা কমে যাবে। এর ফলে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে কৃষক ও মৎস্যজীবীদের। তবে ততদিনে জল না সরালে মাছ পচার গন্ধেও টেকা যাবে না। সে কারণেই কুলতলির গোপালগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েত-সহ অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে শুরু হয়েছে পাম্প সেটের মাধ্যমে পুকুর থেকে নোনা জল বের করার কাজ।