
বারুইপুর: আবার এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মহম্মদ সুজন মোল্লা। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে এখানকার আশ্রয়দাতাও। ঘটনাস্থল দক্ষিন ২৪ পরগনার বারুইপুর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে বেআইনি পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি। তারপর থেকেই বারুইপুরে থাকছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, চম্পাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সোল গোয়ালিয়া এলাকায় ভুয়ো পরিচয়ে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, স্থানীয় আলমগীর মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে নিজের বাবা হিসাবে দেখিয়ে আধার কার্ড,ভোটার কার্ড,এমনকী প্যান কার্ডও তৈরি করে ফেলে সুজন। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুজনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্টও।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই নথিগুলি ব্যবহার করেই সে সীমান্ত পারাপার করত। শুধু তাই নয়, সুজন নাকি ছিনতাইচক্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিল। পুলিশের দাবি,বাইক ও মোবাইল ছিনতাই করে সেগুলি বাংলাদেশে পাচার করা ছিল তার নিত্যদিনের কাজ। এই ঘটনায় শুধু সুজন নয়,তাঁকে সাহায্য করার অভিযোগে আলমগীর মোল্লাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার কাছে থাকা দু’টি মোবাইল,একাধিক ভুয়ো নথি ও পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানা। কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে সে এখানে ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বস্তুত, এই প্রথম নয় এর আগে অগস্টে মহম্মদ আরিফুরজামান নামের এক বাংলাদেশি পুলিশ অফিসারকে পশ্চিমবঙ্গের হাকিমপুর সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। এমনকী, ষোলো বছর বেআইনিভাবে থাকার অভিযোগে গ্রেফতার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছিল। পাশাপাশি বিএসএফ ও স্থানীয় পুলিশ যৌথভাবেও সিতাই, শিতলকূচি থেকে প্রায় ৪০ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছিল।