মহেশতলা: বর্ষবরণের দিন কালীমন্দিরের (Kali Temple) পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। গলায় তার পেঁচিয়ে ওই হাফিজুল নামে যুবককে খুন করা হয়েছিল বলে অনুমান করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পুলিশ আধিকারিক সকলে। সেই ঘটনার দু’দিন পর রহস্যের কিনারা করল পুলিশ (Police)। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম মেরাজ মোল্লা। ঘটনার দিন এলাকার একটি গ্যারাজে চুরি করে অভিযুক্ত। এরপর ডাকঘর কালী মন্দিরে চুরি করতে গেলে বাধা দেয় হাফিজুল। তখনই দু’জনের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। অভিযোগ, এরপরই অভিযুক্ত মেরাজ মোল্লা তিনবার মাথার পিছনে ইট গিয়ে মারে হাফিজুলের। তারপরই রক্তাক্ত কম্বল চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় সে।
গোটা ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজে দেখার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে পেশ করে মহেশতলা থানার পুলিশ। মৃতের স্বামী বলেন, “আমি চাই আমার স্বামীকে যে মেরেছে ওর শাস্তি হোক। এতে আমার জীবন চলে গেলেও আমি প্রাণ দিয়ে লড়ব। ও চুরি করতে বাধা দিয়েছিল বলে ওকে মেরে ফেলা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় ডাকঘর কালীমন্দিরের পাশে স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশতলা থানার পুলিশ। তারা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠায়। তখনই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা তখনই অভিযোগ করেন, ওই ব্যক্তির মাথায় ও মুখে ইট দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছে। কারণ তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় থানায় । মহেশতলা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এলাকার সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখছে।