Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Patharpratima: ‘আমাদের নজরদারিতে অভাব ছিল…’, ঢোলাহাট বিস্ফোরণকাণ্ডে দায় স্বীকার পঞ্চায়েতের

Patharpratima: কোথায় বাজি সাপ্লাই করতেন চন্দ্রকান্ত বণিক? তা অবশ্য জানেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। নিজেদের ভুল মানলেনও। বলছেন, 'নজর রাখা উচিত ছিল।' এতদিনে, ৮ জনের প্রাণ চলে যাওয়ার পর কি তবে হুঁশ ফিরল? প্রশ্ন উঠছে।

Patharpratima: 'আমাদের নজরদারিতে অভাব ছিল...', ঢোলাহাট বিস্ফোরণকাণ্ডে দায় স্বীকার পঞ্চায়েতের
ঢোলাহাট বিস্ফোরণস্থল (ইনসেটে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য)Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 02, 2025 | 2:48 PM

পাথরপ্রতিমা: বেআইনিভাবে বাজি তৈরির কথা জেনেও চুপ ছিল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত! পাথরপ্রতিমা বিস্ফোরণকাণ্ডে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। বাজি কারখানার মালিক চন্দ্রকান্ত বণিকের আদৌ লাইসেন্স আছে কিনা, জানেই না স্থানীয় পঞ্চায়েত। কোথায় বাজি সাপ্লাই করতেন চন্দ্রকান্ত বণিক? তা অবশ্য জানেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। নিজেদের ভুল মানলেনও। বলছেন, ‘নজর রাখা উচিত ছিল।’ এতদিনে, ৮ জনের প্রাণ চলে যাওয়ার পর কি তবে হুঁশ ফিরল? প্রশ্ন উঠছে।

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অলোক জাটুয়া বলেন, “আমি লাইসেন্স করিনি। তবে শুনেছি যে ও লাইসেন্স করছে। দমকল থেকে লাইসেন্স নিচ্ছে, এগুলো শুনেছি। গ্রেফতার হয়েছিল, সেটাও আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম, তার ভিত্তিতে। আমি থানায় জানিয়েছিলাম, কী বাজি তৈরি করছে, সেটা দেখতে হবে। কিন্তু আমি এর বেশি করলে সরাসরি বিরোধিতা করা হয়ে যেত। ওর পরিবারের অনেক সদস্য বিজেপি করত।”

TV9 বাংলা যোগাযোগ করেছিল দক্ষিণ রায়পুরের পঞ্চায়েত প্রধান ছন্দা মণ্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, “প্রতি বছর লাইসেন্স রিন্যুয়াল করতে হয়, কিন্তু ও করত কিনা,  সেই ব্যাপারে আমার কাছে কোনও তথ্য নথিভুক্ত নেই। ওকে একবার থানায় তুলে দেওয়া হয়েছিল। থানা থেকে বেরিয়ে আবার যে ব্যবসা শুরু করেছিল, সেই জায়গা দেখার ক্ষেত্রে আমাদের নজরদারির অভাব হয়েছিল। প্রশাসনিক স্তরে পৌঁছে যাওয়ায় আমরা ওতো গুরুত্ব দিয়ে দেখিনি।”

এদিকে, বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যান সিপিএম নেতা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “প্রশাসন জানত না, এটা হতে পারে না। যদি একটা মাসোয়ারার ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে এত দীর্ঘদিনের ব্যবসা হতে পারে না। গ্রেফতারির পর ব্যবসা আরও রমরমিয়ে চলত। জেলা প্রশাসনের ওপর দায়িত্ব দিলে তদন্ত হবে না। হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে যে কোনও নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করা হোক।” এদিকে, এই ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন এডিজি রাজীব কুমার।

উল্লেখ্য,  সোমবার রাতে ঢোলাহাটে বাজি কারখানার মালিক চন্দ্রকান্ত বণিক ও তাঁর ভাই তুষারকান্তি বণিকের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। জানা যাচ্ছে, বাড়িতেই মজুত ছিল প্রচুর পরিমাণ বাজি-বিস্ফোরক। তাতে মৃত্যু হয় ৮ জনের। ইতিমধ্যেই চন্দ্রকান্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তুষার পলাতক।