কলকাতা: জয়নগরে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। কাটাপুকুর মর্গে বিক্ষোভ বাম-বিজেপির। শনিবার বিকেল নাগাদ কুলতলির নাবালিকার দেহ আনা হয় কাটাপুকুর মর্গে। আরজি করের ঘটনা থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে দেহ সংরক্ষণের দাবি জানাতে থাকেন দেখাতে থাকেন বাম-বিজেপি সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আচমকাই পুলিশ তাঁদের উপর বলপ্রয়োগ করে। মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, টিভি৯ বাংলার ক্যামেরা ভেঙে দেয় পুলিশ। এমনকী মারধর করে সাংবাদিককেও।
শনিবার সকাল থেকেই এই ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা ছিল চরমে। তবে বিকেল হতেই অশান্তি আরও বাড়তে থাকে। মর্গে নাবালিকার দেহ আসার পরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম-বিজেপি কর্মী। এরপরই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। দীপ্সিতা ধরকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বাম-কর্মী সমর্থকদের মেরে মুখের রক্ত বের করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, “মেয়েটির বাবা-মা যখন থানায়-থানায় ঘুরছিল তখন তো এফআইআর নেয়নি। অথচ আজ যারা ময়নাতদন্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসেছে, তারা চাইছে ময়নাতদন্ত নিরপেক্ষভাবে করা হোক। মৃতদেহ সংরক্ষণের দাবি করছে। সেই সময় এভাবে পুলিশ মারছে? ধিক্কার জানাচ্ছি।
এখানেই শেষ নয়, ভেঙে দেওয়া হয় টিভি৯ বাংলার ক্যামেরা। শুধু তাই নয়, বাদ গেল না টিভি ৯ বাংলার চিত্র সাংবাদিক। মারতে-মারতে বের করে দেওয়া হয় প্রতিনিধিকে। সংবাদ মাধ্যমের কাজ তথ্য তুলে ধরা। তাঁরা সেই কাজটিই করলছিলেন। তাহলে কেন মার খেতে হল? ভিতরে এমন কী হচ্ছিল যার ছবি করতে গিয়ে মার খেতে হল? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে গুচ্ছ-গুচ্ছ প্রশ্ন।