বিষ্ণুপুর: স্কুলে (School) মোবাইল ফোন আনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ঝামেলা। হাতিহাতিতে জড়ালো পড়ুয়ারা। স্কুলের গেটে পড়ল তালা। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত গাববেড়িয়ার ছাত্র বন্ধু উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে। গেটে তালা ঝুলে যাওয়ায় স্কুলের মধ্যেই আটকে পড়লেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। খবর গেল পুলিশে। শেষে পুলিশ এসে তালা খুলে উদ্ধার করলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
ঘটনা প্রসঙ্গে শিক্ষক প্রদীপ কুমার বাগ বলেন, “ছাত্ররা নিজেদের মধ্যে মারপিট করেছে। মোবাইল ফোন আনা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। এখন মোবাইল নিয়ে তো একটা বিধিনিষেধ রয়েছে। এদিকে পড়ুয়ারা অনেক সময় বলে যে আমার বাবা বিদেশে। মা অসুস্থ। নানা অজুহাত দেখায়। এখন পরীক্ষা চলছে। তাই কাউকে সাসপেন্ডও করা যায়নি। এদিন পরীক্ষার হলেও ওরা মোবাইল আনে। পরীক্ষার হলে যে শিক্ষকরা গার্ড দিচ্ছেলিনের তাঁদের সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হয় পড়ুয়াদের। তবে শিক্ষকরা কাউকেই মারধর করেনি। ওরা নিজেদের মধ্যেই ঝামেলায় জড়ায়। গণ্ডগোলটা অনেকটা বড় হয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।”’
প্রযুক্তির হাত ধরে বর্তমানে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মুঠোফোন। এমনকী সরকারের তরফ থেকে মোবাইল কেনার জন্য পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে অর্থসাহায্য। করোনাকালে বিগত দুবছর ধরেই এই মোবাইলকে হাতিয়ার করে চলেছে পঠনপাঠন। যদিও অফলাইন পঠনপাঠন শুরু হতেই স্কুলের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারে পুরনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অনেক স্কুলই। অভিযোগ তা মানছেন না অনেক পড়ুয়াই। উল্টে পড়াশোনার পরিবর্তে পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ মোবাইলকে শুধুমাত্র বিনোদনের হাতিয়ার করে ফেলেছেন বলেও অভিযোগ। তারমধ্যে এ ঘটনা ঘটে যাওয়ায় তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে শিক্ষা মহলে।