বারুইপুর: কুলতলির সাদ্দামকে গত কয়েকদিন ধরে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছে পুলিশ। গোটা এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালানো হয়। অবশেষে গত বুধবার গভীর রাতে ভেড়ির পাশের আলাঘর থেকে গ্রেফতার করা হয় সেই সাদ্দাম সর্দারকে। তাঁকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারুইপুর আদালত। তাঁর বাড়িতে খাটের নীচে কেন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল, তা জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আর জেরায় সেই গোপন সুড়ঙ্গ নিয়ে নতুন নতুন তত্ত্ব পুলিশকে দিচ্ছেন সাদ্দাম।
তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশ সাদ্দামের বাড়িতে খাট সরাতেই সন্ধান পায় সুড়ঙ্গে। সেই সুড়ঙ্গের একটি প্রান্ত পৌঁছেছে সরাসরি মাতলা নদীতে। সুড়ঙ্গের আর একদিকে লোহার গেটে তালা-চাবি লাগানো। গোপন সুড়ঙ্গে কী কারবার চলত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে সাদ্দাম দাবি করেন, ওই সুড়ঙ্গ শৌচাগার হিসেবে ব্যবহার করতেন তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, পরে আবার নতুন তত্ত্ব দিয়েছেন তিনি। সাদ্দাম দাবি করেছেন, ওই সুড়ঙ্গে নাকি মাগুর মাছ চাষ করতে চেয়েছিলেন তিনি। লাভজনক ব্যবসা হিসেবে মাগুর মাছ চাষের কথা ভেবেছিলেন। পরে সিদ্ধান্ত বদল করেন ও লোহার গেট বসিয়ে দেন।
এত নতুন নতুন তত্ত্ব সামনে আসছে বিভ্রান্তি বাড়ছে আরও। জানা গিয়েছে,
গত বছরও গ্রেফতার হয়েছিলেন সাদ্দাম। পরে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আবার মন দেন প্রতারণার কাজে! নদিয়ার এক ব্যবসায়ীকে চুল বিক্রির টোপ দিয়ে প্রতারণার পরই নতুন করে সাদ্দামের বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত। সাদ্দামকে ধরতে গেলে বাধা পেতে হয় পুলিশকে। শেষ পর্যন্ত বুধবার মান্নান খান নামে এক ব্যক্তির আলাঘর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।